পুরোদমে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের জন্য কাবুল বিমানবন্দর প্রস্তুত বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ। বিদ্যমান সামান্য কিছু কারিগরি ত্রুটিও শিগগিরই ঠিক করে ফেলা যাবে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
আফগানিস্তানের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাঈম সালেহি শনিবার এক ঘোষণায় জানান, বিমান চলাচল শুরু করার বিষয়ে প্রতিবেশী দেশ ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবহিত করা হয়েছে।
সালেহি বলেন, ‘কারিগরি দিক থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলে আর কোনো বাধা নেই। প্রতিবেশী দেশগুলোর জবাবের অপেক্ষায় আছি আমরা। কাবুল থেকে তারা যাত্রী আনানেয়া শুরু করবে কি না, সে সিদ্ধান্ত তারা জানাবে। আপাতত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু রয়েছে।’
টোলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাস থেকে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখনও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ওঠানামা শুরু করার অপেক্ষায় কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে জোরেসোরে কাজ চলছে।
গত কিছুদিনে বিমানবন্দরটি থেকে কয়েকটি চার্টার ফ্লাইট কাতার, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছে। মূলত আফগানসহ কয়েক দেশের নাগরিকদের তালেবানশাসিত আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ওই ফ্লাইটগুলো কাবুল ছেড়ে যায়।
এদিকে, কাবুলে বিমানের টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া বলে অভিযোগ করেছেন ইরান ও পাকিস্তানের ভিসাপ্রাপ্ত অর্ধশতাধিক আফগান নাগরিক।
এক বাসিন্দা বলেন, ‘মানুষ পাসপোর্ট আর ভিসা পেয়ে গেছে। কিন্তু টিকিট নেই। ভাগ্যক্রমে টিকিট পেয়ে গেলেও তার দাম অসম্ভব বেশি।’
কাবুলভিত্তিক কয়েকটি পর্যটন প্রতিষ্ঠানের মালিকরাও বিমান টিকিটের আকাশছোঁয়া দামের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আফগানিস্তানের পর্যটনবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের একটি ইউনিয়নের প্রধান মাসুদ বিনা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিটের দাম বেড়েছে। পাকিস্তানের টিকিটের দাম যেখানে আগে ছিল দেড় শ থেকে দুই শ ডলার, সেখানে এখন দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ শ ডলারে।’
আফগান বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কাতার, পাকিস্তান আর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আফগানিস্তানে পাঠানো সহায়তা নিয়ে এ পর্যন্ত ১০টির বেশি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কাবুল বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।