ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসোনারোর পদত্যাগের দাবিতে ১৬০টির বেশি শহরে বিক্ষোভ করেছেন লাখো মানুষ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক এক বছর বাকি থাকতে স্থানীয় সময় শনিবার এ বিক্ষোভ হয় দেশের সব বিরোধী দল ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে।
জনমত জরিপে দেখা গেছে, বলসোনারোর জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে।
করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য প্রেসিডেন্টের ওপর ক্ষুব্ধ দেশটির জনগণ। করোনায় ব্রাজিলে প্রাণ হারিয়েছে ছয় লাখের বেশি মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্রাজিলের সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে বলসোনারোর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেখা গেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে ভালদো অলিভেইরা নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘বিশ্বকে পেছনে ঠেলে দেয়ার মতো যা কিছু হয়, সে সবকিছুর প্রতিনিধি আমাদের এই প্রেসিডেন্ট। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, দুর্নীতি- কিসে ভুগছি না আমরা। গণতন্ত্র রক্ষায় আজ রাজপথে নেমেছি।’
বলসোনারোর অভিশংসনের দাবিতে শতাধিক আইনপ্রণেতার অনুরোধ জমা পড়েছে পার্লামেন্টে। কিন্তু সেগুলো নিয়ে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।
ব্রাজিলের সর্বোচ্চ আদালত সম্প্রতি বলসোনারোর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অনুসন্ধানে অনুমতি দিয়েছে।
গত মাসে বলসোনারোর সমর্থনে ব্রাজিলে বেশ কয়েকটি বড় জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্লেষকদের ধারণা, সাম্প্রতিক জনমত জরিপে তার সমর্থন কমতে থাকার বিষয়টি ভুল প্রমাণে সেসব সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মূলত বলসোনারোকে যে এখনও বিপুলসংখ্যক মানুষ সমর্থন করে, তা দেখাতেই সমাবেশগুলো করা হয়।
জনমতি জরিপের ফল বলছে, বামপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভার চেয়ে নয় শতাংশ পিছিয়ে আছেন বলসোনারো। বর্তমানে তার প্রতি জনসমর্থন সর্বনিম্ন।
২০২২ সালের অক্টোবরের আগে ব্রাজিলে নিশ্চিতভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হচ্ছে না।
অ্যাটলাস ইনস্টিটিউটের একটি জরিপে উঠে এসেছে, বলসোনারো সরকারের শাসনব্যবস্থা খারাপ অথবা খুব খারাপ বলে মনে করে ব্রাজিলের ৬১ শতাংশ জনগণ।
অথচ ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যখন বলসোনারো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন এ হার ছিল ২৩ শতাংশ।