মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখার উপনির্বাচন ভবানীপুর বিধানসভার ভোট গণনা চলছে।
এর মধ্যে ভবানীপুর কেন্দ্রের দ্বিতীয় রাউন্ড গণনা শেষে ২ হাজার ৫০০ ভোটে এগিয়ে মমতা।
ভোট গণনা চলছে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভার নির্বাচনেরও। এর মধ্যে ভবানীপুরে ২১ রাউন্ড, সামশেরগঞ্জ ৩০ রাউন্ড ও জঙ্গিপুরে ২৬ রাউন্ড ভোট গণনা হবে।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভারতীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোট গণনা। কলকাতার এলগিন রোডে শাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস হাইস্কুলে ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোট গণনা চলছে।
গণনা কেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রথম বলয়ে আছে স্থানীয় পুলিশ। দ্বিতীয় বলয়ে রাজ্য পুলিশ। তৃতীয় বলয়, অর্থাৎ গণনাকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত তৃণমূল। তাদের একটাই লক্ষ্য বিজেপিকে কত বেশি ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্রে হারানো যায়।
অন্যদিকে, ভোট গণনা কেন্দ্র করে কোনো বিদ্বেষ যাতে না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে কলকাতা হাইকোর্টকে চিঠি লিখেছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
পাল্টা পরিবহন মন্ত্রী, তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপি রাজ্যের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াচ্ছে।
দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর মমতার নিজের এলাকা। তিনি শুধু এই বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাই নন, ২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনেও এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।
করোনার আবহে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ভবানীপুরের প্রার্থী না হয়ে, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান মমতা। সংবিধান অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীও হন।
তবে বিধানসভা নির্বাচনের সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, ছয় মাসের মধ্যে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে মমতার। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে উপনির্বাচনে যেতে হয়েছে মমতাকে।
তাকে এ সুযোগ করে দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ভবানীপুর থেকে বিজয়ী হয়েও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। আর আসনটি তিনি ছেড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য।
ভবানীপুর বিধানসভার ১৫৯ নম্বর আসন। কলকাতা পৌরসভার ৬৩, ৭০, ৭১,৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৭ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ড এ অন্তর্ভুক্ত। মোট ভোটকেন্দ্র ২৮৭টি। ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৭২।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর উপনির্বাচনের ভোট হয়। ভোট পড়েছিল প্রায় ৫৫ শতাংশ।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ বিধানসভারও ভোট গণনা চলছে। সব নজর ভবানীপুরে।