শরিয়াহ আইনের অপব্যবহার করা উচিত নয়, বিশেষ করে নারীদের অধিকার রক্ষার প্রশ্নে। আফগানিস্তানের নতুন শাসকদল তালেবানকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন কাতারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি।
ইসলামিক সংবিধান অনুসরণের ক্ষেত্রে তালেবানের জন্য কাতার আদর্শ উদাহরণ বলেও উল্লেখ করেন থানি। তালেবানের জন্য আদর্শ হয়ে ওঠার জন্যও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
আফগান বার্তা সংস্থা খামা প্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক শীর্ষ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেলকে কাতারে স্বাগত জানান থানি। দোহায় বোরেলের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন এসব কথা।
সাবেক আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানের আলোচনাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে অনেক বছর ধরে কাজ করছিল কাতার। আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতেও কট্টরপন্থি গোষ্ঠীটির সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল দেশটির।
বিশ্বের সঙ্গে তালেবানের যোগসূত্র রক্ষাকারী হিসেবে কাতারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলী বলে উল্লেখ করেন বোরেল। তিনি জানান, কাবুলের বর্তমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের যোগাযোগ তৈরিতে সহযোগিতা করছে পারস্য উপসাগরীয় দেশটি।
বিশেষ করে তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর আফগানিস্তান থেকে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের উদ্ধারে সহযোগিতার জন্য কাতারের ভূয়সী প্রশংসা করেন বোরেল। দোহার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকাজের সময় আপনারা সহযোগিতা করেছেন। এখনও করছেন, কাবুল বিমানবন্দর চালু রাখার মাধ্যমে। আমি নিশ্চিত যে আপনাদের এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
আফগানিস্তানের জনগণের জন্য মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দিতে কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলেও আশা জানান বোরেল।
তালেবান ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে যোগসূত্র তৈরিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দীর্ঘদিন ধরেই সবচেয়ে প্রভাবশালী ভূমিকায় আছে কাতার। ২০১৩ সাল থেকে দোহায় তালেবানের একটি রাজনৈতিক কার্যালয়ও চালু আছে।
সেপ্টেম্বরে তালেবান অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর কাবুলে রাষ্ট্রীয় সফর করা প্রথম বিদেশি সরকার প্রতিনিধি দলটিও পাঠিয়েছে কাতার।