শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় নাইট কারফিউতে ছাড় থাকলেও গত বছরের মতো এবারও পশ্চিমবঙ্গের পূজামণ্ডপে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
দুর্গাপূজা থেকে কালী পূজার কোনো মণ্ডপে প্রবেশ করে এবারও প্রতিমা দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন দর্শনার্থীরা। তবে ভার্চুয়াল প্রতিমা দর্শনের ওপর বেশি জোর দিতে বলেছে আদালত।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে জানানো হয়, ‘পূজা আয়োজনে আগের বছরের নির্দেশই বহাল থাকবে। এবার অবশ্য রাত জেগে ঠাকুর দেখা যাবে। তবে মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ, ঠিক গত বছরের মত।’
রাজ্য সরকার হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানিয়েছে, ‘এই রায়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।’
একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে।
এদিন আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘এবার পূজামণ্ডপে নো এন্ট্রি বহাল থাকলে তাদের কোনো আপত্তি নেই। ২০২০ সালে কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা মেনে পূজা হবে। করোনা বিধিনিষেধও পালন করা হবে।’
ছোট মণ্ডপগুলোতে সর্বাধিক ১৫ জন এবং বড় মণ্ডপগুলোতে সর্বাধিক ২৫ জন উদ্যোক্তা মণ্ডপে থাকতে পারবেন। তার জন্য নির্দিষ্ট তালিকা রাখতে হবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড রাখতে হবে। ছোট পূজার ক্ষেত্রে ৫ মিটার এবং বড় পূজার ক্ষেত্রে ১০ মিটার দূরত্বে ব্যারিকেড রাখতে হবে। শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক, স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক ব্যবহার করতে হবে।
এ রাজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে সামনে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য উৎসবেও সাবধানতা অবলম্বনে জোর দিতে বলছে কেন্দ্র।
চিকিৎসকরাও করোনা বিধি মানার ওপর জোর দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে করোনা বিধি মেনে যাতে পূজা হয়, তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হলে হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চাইলে আদালতের রায়ে সহমত পোষণ করে সরকার।
বলা হয়, রাত জেগে ১০ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ঠাকুর দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা। কেননা পূজার দিনগুলোতে নাইট কারফিউতে ছাড় থাকছে।