আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের কাছে স্বীকৃতি চাইলেন তালেবান সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত সুহাইল শাহীন।
টোলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছেন শাহীন।
তিনি জানান, সাবেক আফগান সরকারের পতনের পরও সেই সরকারের নিয়োগ দেয়া প্রতিনিধি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন না।
শাহীন বলেন, ‘কাবুল প্রশাসনের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। সরকার হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনায় যা কিছু দরকার, সেগুলোর কিছুই নেই তাদের। বরং ইসলামিক আমিরাত হিসেবে যাত্রা শুরু করা আফগানিস্তানের নতুন সরকারে সেসব কিছুই আছে, যা একটি সরকারে থাকা দরকার।
‘তাই তালেবান সরকারই আফগান জনগণের একমাত্র এবং উপযুক্ত প্রতিনিধি।
জাতিসংঘে আফগানিস্তানের আসনের পদমর্যাদার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তারা মনে করেন, এ ধরনের অনিশ্চয়তা আফগানিস্তানের জন্য আরও নেতিবাচক পরিস্থিতি বয়ে আনবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সেলিম কাকার বলেন, ‘সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এবং আফগানিস্তান প্রজাতন্ত্র বলে কোনো অস্তিত্ব নেই। তাই এখন জাতিসংঘে ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের প্রতিনিধি গোলাম মোহাম্মদ ইশাকজাইয়ের উপস্থিতি অর্থহীন ও অকার্যকর।’
এর আগে আফগানিস্তানের আসন তালেবান শাসকগোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে দেয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে জাতিসংঘ।
একই সঙ্গে জাতিসংঘে আফগানিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ ইশাকজাইয়ের মেয়াদও বাড়িয়েছে জাতিসংঘ।
কিন্তু তাও সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে কথা বলতে দেয়া হয়নি ইশাকজাইকে। এর কোনো কারণও জানানো হয়নি।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান, প্রজাতন্ত্র বাতিল করে দেশটিকে ঘোষণা করে ইসলামিক আমিরাত হিসেবে। কিন্তু এখনও আফগানিস্তানের সরকার হিসেবে গোষ্ঠীটিকে স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্বের কোনো দেশ। উল্টো আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করেছে অনেক দেশ।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ হামিদ ওবাইদি বলেন, ‘তালেবানকে আগে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ও পারস্পরিক স্বার্থ বুঝতে হবে।’
১৯৪৬ সালের ১৯ নভেম্বর আফগানিস্তানকে সদস্য হিসেবে গ্রহণ করে জাতিসংঘ।