আফগানিস্তানে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়ে ও নারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশ বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানী কাবুলে বিক্ষোভ করেছেন নারীরা।
নতুন শাসকদলের এ পদক্ষেপ আফগান সমাজে নারীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলে অভিযোগ বিক্ষুব্ধ নারীদের।
টোলো নিউজের শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, শাসকদল তালেবানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নারীদের বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছিল। সে বাধা উপেক্ষা করেই প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন নারীরা।
এর আগে তালেবান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপ-মন্ত্রী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছিলেন, আন্দোলন করতে হলে আগে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে বিক্ষোভকারীদের।
ছাত্রীদের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া নিয়ে বারবার উদ্বেগ জানাচ্ছেন আফগানিস্তানের সব পর্যায়ের শিক্ষকরা। এ পদক্ষেপে দেশটিতে নারী শিক্ষার ভবিষ্যৎ বড় ধরনের অনিশ্চয়তায় পড়বে বলে শঙ্কিত তারা। বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়ার জন্য নতুন প্রশাসনের প্রতি পরামর্শ তাদের।
আফগান নারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইসলাম ধর্ম ও আফগান আইন- দুটিতেই শিক্ষা গ্রহণ তাদের অধিকার এবং এ অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষমতা কারো নেই।
তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকেই দেশটিতে কিশোরী ও নারীদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। সেপ্টেম্বরে মাসে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রীদের ছাড়াই শিক্ষাদান কার্যক্রম শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
এর আগে আফগানিস্তানের নারী মন্ত্রণালয় স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয় শাসক গোষ্ঠী। রাজধানী কাবুলে নগর প্রশাসনের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও বাড়িতে থাকার আদেশ দেয় তালেবান।
নব্বইয়ের দশকে প্রথম দফার শাসনামলেও নারীদের শিক্ষাগ্রহণ, জীবিকা উপার্জনসহ সব মৌলিক অধিকার বাতিল করেছিল তালেবান।