গত মাসে আফগানিস্তানজুড়ে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় মানুষের বসতবাড়ি দখল করেছিলেন তালেবানের যোদ্ধারা।
ওই সব বাড়িঘর তাদের ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটির নেতা ও আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দ।
তালেবান যোদ্ধাদের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার তিনি ওই নির্দেশ দেন বলে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি তৃণমূল থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায়ে দল গোছানোর পাশাপাশি শৃঙ্খলা আরোপের মাধ্যমে যোদ্ধাদের আচরণ উন্নত করার ইঙ্গিত দেন তালেবানের উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন নেতা।
এর পরই যোদ্ধাদের বাড়িঘর ছাড়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী আখুন্দ।
নির্দেশে বলা হয়, গোষ্ঠীর প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও গোয়েন্দা সংস্থায় কর্মরত সদস্যরা যেসব বাড়িতে রয়েছেন, দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সামরিক ঘাঁটিতে তাদের ফিরে যেতে হবে।
কর্তৃত্বমূলক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশে সম্প্রতি এক নির্দেশে যোদ্ধাদের ঐতিহ্যগত ও বেসামরিক পোশাক পরা নিষেধ করে তালেবান।
গত মাসে কাবুল পতনের পর আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও বিদেশি সেনাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ নিজেদের দখলে নেয় তালেবান।
একই সঙ্গে দেশজুড়ে আফগান সেনাবাহিনীর সামরিক ঘাঁটিও দখল করে তালেবান।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাজধানী কাবুলে কার্ট-ই-চর এলাকায় এক স্কুলের বাইরে শিক্ষার অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভরত নারীদের সমাবেশে গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে তালেবান।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ছয় নারীর ‘আমাদের বই জ্বালিয়ে দিও না’ লেখা পোস্টার ওই সময় কেড়ে নেন তালেবান যোদ্ধারা।
তালেবানের এক কর্মকর্তা মওলাউই নাসরাতুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ওই নারীদের বিক্ষোভের অনুমতি ছিল না।
১৫ আগস্ট কাবুল পতনের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান দখল করে তালেবান।
এরপরই ২০ বছর ধরে অর্জিত অধিকার সংরক্ষণের দাবিতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে নারীরা। তাদের বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমন করে তালেবান।
নব্বই দশকে তালেবানের শাসনামলে নারীদের ঘরের বাইরে কাজ করা, শিক্ষাসহ অন্যান্য অধিকার খর্ব করেছিল তালেবান।