বৃহস্পতিবারের ভোটের ব্যবধান যাই হোক, পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর কেন্দ্রে ৩ অক্টোবরের ফলাফলে মমতা ব্যানার্জির জয় নিশ্চিত বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ।
কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী জোটে এক হওয়ায় ভবানীপুর কেন্দ্রে মমতার বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল নিয়ে মন্তব্য করেন, ‘ভোট কমবেশি যাই হোক না কেন- ভবানীপুরে মমতা ব্যানার্জিই জিতবেন। তবে বেশি ভোট পড়লে, মনে হতো ভবানীপুরের বেশিরভাগ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মমতা ব্যানার্জির ডাকে সাড়া দিয়ে তাকে জিতিয়েছেন।’
মমতার জয়ের ব্যাপারে অধীর চৌধুরীর মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘কংগ্রেস এখন অপ্রাসঙ্গিক। ওদের কথার কোনো মূল্য নেই।’
আর তৃণমূল নেতা সৌগত রায় ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতার সম্ভাব্য জয় প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ঠিকই বলেছে অধীর। ও আগেই বুঝতে পেরেছে।’
বৃহস্পতিবার মিত্র ইন্সটিটিউশনে, বিকেল তিনটের পর গিয়ে ভোট দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল চারটের পর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিত্র ইন্সটিটিউশনে ভোট দেন। দুপুরে চেতলা গার্লস স্কুলে সপরিবারে ভোট দেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে তৃণমূল শিবিরে কোনো সংশয় নেই। সংবিধান মেনে মমতাই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। কত বেশি ভোটের ব্যাবধানে তিনি জিতবেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। ভোটদানের হার সকালের দিকে কম থাকলেও বেলা যত গড়িয়েছে ভোটদানের হারও তত বেড়েছে। বেলা পাঁচটা নাগাদ ভবানীপুরে ভোট পড়ে ৫৩ শতাংশ।
এদিকে, ভবানীপুরের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের ডায়সেশন স্কুলে ১৬০ নম্বর বুথের সামনে বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবের গাড়িতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পাল্টা অভিযোগ তুলেছে- ভবানীপুরের খালসা হাইস্কুলে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা বহিরাগতদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বেশিরভাগ অভিযোগ বাতিল করে দিলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনার প্রতিবেদন চেয়েছে।