তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নাজলা বাউডেন রমধানে। এই প্রথম কোনো নারী দেশটির সরকারপ্রধান হলেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাইয়ের শেষে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিচেম মেচিচিকে সরিয়ে দেশটির নির্বাহী কর্তৃপক্ষের প্রধানের দায়িত্ব নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ। ওই সময় পার্লামেন্টের কার্যক্রমও স্থগিত করেন তিনি।
তিউনিসিয়ার ক্ষমতা কুক্ষিগত করায় দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সাইদ।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় বুধবার নতুন সরকার গঠনে ৬৩ বছর বয়সী রমধানেকে দায়িত্ব দেন তিনি।
ফেসবুকে এক ভিডিওতে সাইদ বলেন, ‘তিউনিসিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম একজন নারী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।’
তিনি বলেন, ‘রমধানে ও আমি কঠোরভাবে দেশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চলমান দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা মোকাবিলা করব।’
২০১৪ সালের সংবিধান অনুযায়ী, তিউনিসিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের চেয়ে কম ক্ষমতা দেয়া হয়েছে রমধানেকে।
গত সপ্তাহে সাইদ বলেছিলেন, তিউনিসিয়ার সরকার প্রেসিডেন্টের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
১৯৫৮ সালে তিউনিসিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় কাইরুয়ান প্রদেশে জন্ম হয় রমধানের। রাজধানী তিউনিসের ন্যাশনাল স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের ভূ-তত্ত্ববিদ্যার অধ্যাপক তিনি।
তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে দেশটির উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাবিষয়ক মন্ত্রণালয় রমধানেকে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একযোগে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেন।
২০১১ সালে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান রমধানে।
তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বল্প পরিচিত প্রকৌশলী রমধানের তেমন কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
রমধানের নিয়োগ নিয়ে তিউনিসিয়ার প্রভাবশালী জেনারেল লেবার ইউনিয়ন বা রাজনৈতিক দলগুলোর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অবশ্য স্থগিত পার্লামেন্টের অনুমতি না নেয়ায় রমধানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করতে পারেন সংসদ সদস্যরা।