বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুখ্যমন্ত্রী পদ টেকাতে ভবানীপুরে জিততেই হবে মমতাকে

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:২৩

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ভাগ্য নির্ধারণ হবে এ উপনির্বাচনে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে টিকে থাকতে হলে হাইভোল্টেজ ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তাকে জিততেই হবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ‘ভবানীপুর’ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ হবে এ উপনির্বাচনে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে টিকে থাকতে হলে হাইভোল্টেজ ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তাকে জিততেই হবে।

ভবানীপুর ছাড়াও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভারতীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন চলাকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জের দুই প্রার্থীর মৃত্যু হলে সেখানে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। তাই এ দুই কেন্দ্রে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে।

দক্ষিণ কলকাতার ‘ভবানীপুর’ মমতার নিজের এলাকা। তিনি শুধু এই বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাই নন, ২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনেও এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।

তবে এ বছর করোনার আবহে গত মার্চ-এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ভবানীপুরের প্রার্থী না হয়ে, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ভবানীপুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিজয়ী হয়েও বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। আসনটি তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য ছেড়ে দেন।

বিধানসভা নির্বাচন সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, ছয় মাসের মধ্যে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে মমতার। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ধরে রাখতে এ কেন্দ্রে তাকে জিততেই হবে।

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র ১৫৯ নম্বর আসন। কলকাতা পৌরসভার ৬৩, ৭০, ৭১,৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৭ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ড এ কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। মোট ভোটকেন্দ্র ২৮৭টি। ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ২৭২।

২০১৬ সালে এ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন। তার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬৫ হাজার ৫২০। মোট ভোটের ৪৭.৬৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল।

২০২১ সালে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনিল ঘোষকে ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে হারিয়ে দেন। প্রদত্ত ভোটের ৫৭ শতাংশ ভোট পায় তৃণমূল।

এবার উপনির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য বেশি ব্যবধানে জয়। তবে টক্কর দেয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। সঙ্গে আছেন সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস।

এদিকে কড়া নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ভবানীপুর হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে। একজন সাধারণ পর্যবেক্ষক, একজন পুলিশ পর্যবেক্ষক এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক থাকবেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

বিচ্ছিন্ন দু-একটি বুথ জ্যাম ও এজেন্ট দিতে না পারার মতো ছোট ঘটনার অভিযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।

তিন কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে। ভবানীপুর উপনির্বাচন কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় যেখানে যেখানে পানি জমে আছে, সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় যেন কোনো সমস্যা না হয় তা দেখা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো ভোটারের ভোট প্রদান কেন্দ্রে যেতে সমস্যা হলে কমিশনকে জানাতে। তারা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করবে।

এ বিভাগের আরো খবর