‘বিজেপিকে আটকাতে পারেন মমতা’- এই ঘোষণার মধ্যেই সোমবার সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দেন গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। কংগ্রেস ছেড়ে মঙ্গলবার কলকাতায় আসেন তিনি।
সূত্রের খবরে জানা যায়, তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করে ফেলেইরো বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে মমতার ফর্মুলা জিতে গিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪০ বছর কংগ্রেস হয়ে রয়েছি। কংগ্রেস হয়েই থাকব। চারটি কংগ্রেসের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে সব থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন। মোদি পশ্চিমবঙ্গে দুই শ, অমিত শাহ আড়াই শ জনসভা করেছেন। তারপর ইডি, সিবিআইয়ের চাপ তো ছিলই। এত কিছুর পরও মমতার ফর্মুলার জয় হয়েছে।’
ইতোমধ্যে নিজের এমপি পদ ত্যাগ করেছেন ফেলেইরো। অনুগামীদের নিয়েই তৃণমূলে যোগ দেবেন তিনি। দলের পক্ষে তাকে কলকাতার হোটেলে স্বাগত জানান মন্ত্রী সুজিত বসু ও সাংসদ শান্তনু সেন।
সূত্রের খবরে জানা যায়, গোয়ার সেই প্রবীণ রাজনীতিক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফেলেইরোকে সামনে রেখেই গোয়ায় তৃণমূল সংগঠন নতুন করে সাজাতে চাইছে।
নির্বাচন কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা ‘আইপ্যাক’ গোয়ায় আগেই তৃণমূলের হয়ে জরিপ করে এসেছে।
ডেরেক ও’ব্রায়েন, মনোজ তিওয়ারি, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব সেখানে গিয়েছেন সংগঠন তৈরির কাজে।
২০১২ সালে গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উইলফ্রেড ডিসুজাকে সামনে রেখে গোয়ায় ভোটে লড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।