আফগানিস্তানের আকাশে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ড্রোন ওড়ানো বন্ধ না করলে পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালেবান।
গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বুধবার এ হুমকি দেয়া হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
টুইটারে তালেবান এক বিবৃতিতে বলে, ‘আন্তর্জাতিক সব অধিকার ও আইন লঙ্ঘন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
‘শুধু তাই নয়, কাতারের রাজধানী দোহায় আমাদের সঙ্গে করা চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অঙ্গীকার করেছিল, তাও তারা রাখেনি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দোহা চুক্তিতে বলা হয়েছে, বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর আফগান আকাশসীমায় যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে না।
‘বিদেশি সেনা দেশ ছাড়লেও আমাদের আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন চলাচল বন্ধ হয়নি।’
তালেবানের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে আন্তর্জাতিক অধিকার, আইন ও অঙ্গীকারের আলোকে আফগানিস্তানকে দেখতে আমরা সব দেশ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কর্মকর্তার মন্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পায়নি রয়টার্স।
গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে তালেবান।
দোহা চুক্তি নামে পরিচিত ওই চুক্তিতে বলা হয়, আফগানিস্তানে আল-কায়েদাসহ সন্ত্রাসী বিভিন্ন সংগঠনকে আর আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না তালেবান।
বিনিময়ে আফগানিস্তান থেকে চলতি বছরে নিজেদের সব সেনা সরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সব সেনা প্রত্যাহারের শেষ সময়ে দেশটির প্রায় সব অঞ্চল দখল করে তালেবান।
একপর্যায়ে ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল পতনের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটি।
চলতি মাসের শুরুতে নিজেদের ৩৩ নেতাকে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে তালেবান।
তালেবান নেতারা বিশ্বকে বারবার আশ্বস্ত করে বলেছে, আফগান মাটিতে নিষিদ্ধঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদার কোনো অস্তিত্ব নেই।
তবে গত মাসে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের একেবারে শেষ সময়ে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এবং সপ্তাহখানেক আগে পূর্বাঞ্চলীয় আফগান শহর জালালাবাদে বোমা হামলার দায় নিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে আইএস।