এবার শব্দের চেয়ে বেশি গতির একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
‘হাওয়াসং-৮’ নামে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা মঙ্গলবার চালানো হলেও পিয়ংইয়ং তা জানিয়েছে বুধবার।
উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করতে তাদের পাঁচ বছরের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা তার মধ্যে ‘পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ’ অস্ত্রের অন্যতম ‘হাওয়াসং-৮’।
নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটিকে পিয়ংইয়ং একটি ‘কৌশলগত অস্ত্র’ হিসেবে দেখছে, এর মানে অস্ত্রটিতে পারমাণবিক ক্ষমতা রয়েছে।
পারমাণবিক অস্ত্রের কারণে নানা ধরনের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে পড়লেও সেসবে পাত্তাই দিচ্ছে না বিশ্ব থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়া। সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি তা আবারও জানান দিল।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অস্ত্র ব্যবস্থায় এই উন্নয়নে… প্রত্যেক দিকে জাতির প্রতিরক্ষার সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
চলতি মাসে এই নিয়ে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে রয়েছে নতুন ধরনের ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
এএফপি লিখেছে, সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় বেশি বেগের। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রোখা কঠিন।
কেসিএনএ বলছে, সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার মধ্য দিয়ে এটির কন্ট্রোল সিস্টেম ও স্থিতিশীলতা যাচাই করা হয়েছে।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উন জানুয়ারিতে এক বৈঠক শেষে ঘোষণা দিয়েছিলেন, হাইপারসনিক ওয়ারহেড সমৃদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে বিজ্ঞানীরা গবেষণা শেষ করেছেন। আর মঙ্গলবার এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা চালাল দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার প্রতি অনেক আগে থেকে আহ্বান জানিয়ে আসছে, দেশটি যেন পারমাণবিক অস্ত্রের কার্যক্রম থেকে সরে আসে। এ বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে দুবার বৈঠকেও বসেন, আলোচনা চালান। কিন্তু এসব কোনো কাজে দেয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সঙ্গেও পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ক খুব ভালো যাচ্ছে না। তা ছাড়া, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কার্যক্রমে শুরু থেকে আপত্তি জানিয়ে আসছে তাদের প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।
তবে কোনো বাধাই মানছে না উত্তর কোরিয়া। পারমাণবিক অস্ত্র কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তারা। পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, নিজেদের প্রতিরক্ষার স্বার্থে এসব অস্ত্র তাদের দরকার।