ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে তৃণমূল-বিজেপি ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এ সময় তৃণমূলের কর্মীদের উদ্দেশে পিস্তল তাক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা কর্মী। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে ভোট প্রচারে যান বিজেপির সাবেক রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লিফলেট বিলির সময় একদল তৃণমূল-কর্মী সমর্থক দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ।
বিজেপির অভিযোগ, দিলীপ ঘোষকে ঘিরে ধরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা গো ব্যাক ও জয় বাংলা স্লোগান দেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ ঘটনার সময় পিস্তল তাক দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তাকর্মী পিস্তল তাক করেছিল ঘটনার সময় ।
ঘটনার পর, নির্বাচন কমিশন জেলা নির্বাচন আধিকারিকদের কাছে প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার থেকে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আপলোড করে লেখা হয়েছে, 'বঙ্গ বিজেপির নতুন কাণ্ড। প্রকাশ্য দিবালোকে এভাবে বন্দুক তাক করা যায়? নেতাদের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ করার অধিকার নেই? মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই দৃশ্য লজ্জাজনক! ভবানীপুরের মানুষের নিরাপত্তার জন্য এটা ভয়ংকর!’
বিজেপির তরফে এই ঘটনায় টুইট করে প্রতিক্রিয়ায় লেখা হয়েছে, ‘ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারের বিজেপির নির্বাচনি পথসভায় তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর দ্বারা রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মকর্তাদের। নন্দীগ্রামের পর ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের মানুষ ভোটবাক্সে এর জবাব দেবেন।’
সংঘর্ষের ঘটনায় একজন বিজেপি কর্মী মাথায় চোট পেয়েছেন বলে অভিযোগ দলটির।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল মানুষের কাছে যেতে পারছে না। তাই বিজেপির পেছনে পড়ে আছে। আমাকে বারবার বাধা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি যা করার, সেটি করে গেছি।’
দিলীপকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষকে তো তার দলই সরিয়ে দিয়েছে। মানুষই তাকে চায় না। দিলীপ ঘোষ যে কথাবার্তা বলেন, সেটা মানুষ পছন্দ করেন না। সেটাই বারবার প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে।’
যদুবাবুর বাজারের ঘটনার বিকেল ৪টার মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। ঘটনার ফুটেজও চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।