বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাউথ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:১৩

সাউথ কোরিয়ার বর্তমান প্রাণি সুরক্ষা আইনে কুকুর ও বিড়াল জবাই নিষিদ্ধ থাকলেও এসব প্রাণির মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ ছিল না। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে আগের আইনে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়িয়ে মাংস খাওয়াও নিষিদ্ধ করলেন মুন।

সাউথ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়-ইন। তার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে বলা হয়, কুকুরের মাংস খাওয়ার চর্চা সাউথ কোরিয়ার ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিউল।

অনেক বছর ধরে সাউথ কোরিয়ান কুজিনের উল্লেখযোগ্য উপকরণ হয়ে রয়েছে কুকুরের মাংস। ধারণা করা হয়, দেশটিতে বছরে প্রায় ১০ লাখ কুকুরের মাংস খাওয়া হয়।

তবে সম্প্রতি মানুষের মধ্যে কুকুরকে গবাদিপশু হিসেবে বিবেচনা না করে সঙ্গী বা পোষ্য হিসেবে নেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাউথ কোরিয়ায় কুকুরের মাংস খাওয়াও কমেছে।

বিশেষ করে সাউথ কোরিয়ায় তরুণ প্রজন্মের কাছে কুকুরের মাংসের জনপ্রিয়তা প্রায় নিষিদ্ধের পর্যায়ে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে পশু অধিকারকর্মীদের কাছ থেকেও কুকুরের মাংস নিষিদ্ধে চাপ বাড়ছিল।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেছেন, “সাপ্তাহিক এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কিম বু-কিউমকে মুন জায়-ইন প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ভালোভাবে বিবেচনা করে দেখার সময় কি এখনও আসেনি।’

সাউথ কোরিয়ায় পোষ্য প্রাণির বাজার দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ঘরে কুকুর পালন করা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে দেশটিতে। প্রেসিডেন্ট মুন জায়-ইনও তাদের মধ্যে একজন।

কুকুরপ্রেমী হিসেবে পরিচিত মুনের প্রেসিডেনসিয়াল বাসভবনে বেশ কয়েকটি কুকুর আছে। এদের মধ্যে অন্যতম মিশ্র প্রজাতির একটি কুকুর, যেটিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর মুন নিজেই প্রাণিদের একটি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করেছিলেন।

টোরি নামের ৪ বছর বয়সী মিশ্র প্রজাতির কুকুরটিকে ২০১৭ সালে একটি প্রাণি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে দত্তক নেন মুন জায়-ইন। ছবি: দ্য কোরিয়া হেরাল্ড

নির্বাচনে জিতলে টোরি নামের কুকুরটিকে দত্তক নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুন। এভাবেই ২০১৭ সালে সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয় ব্লু হাউজের পথ খুলে যায় টোরির জন্য।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র আরও জানান, ছিন্নমূল পশুদের আশ্রয়ের ব্যবস্থার উন্নয়নের পরিকল্পনা করছেন মুন। এরই অংশ হিসেবে কুকুরের মাংস খাওয়ার নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

সাউথ কোরিয়ার বর্তমান প্রাণি সুরক্ষা আইনে কুকুর ও বিড়াল জবাই নিষিদ্ধ থাকলেও এসব প্রাণির মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ ছিল না। তাই আগের আইনে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়িয়ে মাংস খাওয়াও নিষিদ্ধ করলেন মুন।

এ বিভাগের আরো খবর