আদালত নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
রোববার বিজেপি নেতা বিপ্লব দেবের একটি ভিডিও নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে আগরতলার রবীন্দ্রভবনে ত্রিপুরার সিভিল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানে আদালত নিয়ে বিপ্লবের বিতর্কিত মন্তব্যটি শোনা যায়।
বিপ্লব বলেন, ‘অনেকে বলেন, আদালত অবমাননা হয়ে যাবে। আদালত অবমাননার দায়ে কারও জেল হয়েছে? আমি তো আছি। জেলে গেলে আমি যাব। এটা এত সহজ নয়।’
তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘যিনি সরকার চালান, তার হাতেই সব ক্ষমতা। জেলে যাওয়ার জন্য পুলিশ চাই। পুলিশ তো মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে। তারা বলবে, আমরা কাউকে খুঁজে পাইনি। তখন আদালত কী করবে?’
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের এমন বক্তব্যে হতবাক হয়েছেন আইনজীবী থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ।
দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর উপনির্বাচনে রোববার ভোট প্রচার করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপ্লবের সমালোচনা করে বলেন, ‘ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, আদালত কী করবে? উনি কাউকে মানেন না। এটাতো ধ্বংসাত্মক মনোভাব।’
বিপ্লব দেবের মন্তব্যের সমালোচনা করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে বলেন, ‘গোটা দেশের কলঙ্ক বিপ্লব দেব। নির্লজ্জভাবে গণতন্ত্রকে নিয়ে উপহাস করছেন। বিচার ব্যবস্থাকেও ছাড়ছেন না। সুপ্রিমকোর্ট কি এ ধরনের অসম্মানজনক মন্তব্যে নজর দেবে?’
অতীতেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সমালোচনার মুখে পড়েছেন। একই সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও বিপ্লব দেবেই আস্থা রেখেছেন।
তবে সম্প্রতি তৃণমূল ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরি করতে সক্রিয় হলে বিপ্লব দেবের সরকারের বাঁধার মুখে পড়ে। সভা-সমিতি বন্ধে এরই মধ্যে ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গাতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙে বিপ্লব দেব নিজেই সভায় অংশগ্রহণ করছেন অথচ বিরোধীদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে।