বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তানের প্রশংসায় তালেবান

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৯:৩২

আফগানিস্তানের অন্তবর্তীকালীন সরকারের ডেপুটি তথ্যমন্ত্রী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি ইসলামাবাদ যে আহ্বান রেখেছে তা প্রশংসনীয়।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমর্থন দেয়ায় পাকিস্তানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন তালেবানের মুখপাত্র ও আফগানিস্তানের অন্তবর্তীকালীন সরকারের ডেপুটি তথ্যমন্ত্রী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।

পাকিস্তান টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি ইসলামাবাদ যে আহ্বান রেখেছে তা প্রশংসনীয়।

জাবিহুল্লাহ বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আফগানিস্তান বিষয়ে পাকিস্তান যে অবস্থান নিয়েছে তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।’

তালেবান সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য দেশের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় আফগানিস্তান। ব্যবসা ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চায়।

জাবিহুল্লাহ বলেন, ‘আমরা আশা করি, আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আফগানিস্তানকে সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখবে।’

আন্তর্জাতিক অনেক ফোরাম ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপগুলোতে তালেবানের পক্ষে বিভিন্ন দেশের সমর্থন দেয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন জাবিহুল্লাহ।

তিনি জানান, কাতার, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ আফগানিস্তান নিয়ে ইতিবাচক অবস্থান নিয়েছে। ছয় দিন আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে চীন ও রাশিয়াও আফগানিস্তানের পক্ষে কথা বলেছে।

সাক্ষাৎকারে আফগানিস্তানের পার্বত্য এলাকা পাঞ্জশির নিয়েও কথা বলেন তালেবান সরকারের মন্ত্রীসভার এই সদস্য। জানান, পাঞ্জশিরে যুদ্ধ শেষ হয়েছে। তালেবান কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না।

তিনি বলেন, ‘সময় এসেছে আফগানিস্তানের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করা। আফগানিস্তানে শান্তি অর্জনের পর আমাদের অগ্রাধিকার হবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা।’

তবে জাবিহুল্লাহ এটাও মনে করে দেন যে, কেউ যদি আফগানিস্তানে আক্রমণ করে বা সরকারের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় তাহলে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে।

দুই দশক পর আবার আফগানিস্তান দখল করে তালেবান জানায়, তারা ২০ বছর আগের অবস্থানে নেই। সহনশীলতার কথা বলেছিল কট্টর ইসলামি গোষ্ঠীটি। শত্রুদের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা জানায় তারা। সবাইকে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের আশ্বাস দেয়। সরকারে নারী প্রতিনিধিত্ব রাখারও ইঙ্গিত দেয়।

তালেবানের এসব আশ্বাসের বাস্তবের কোনো মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে তালেবান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে, সেখানে বেশির ভাগ সদস্যই পশতু জাতিগোষ্ঠীর; মন্ত্রিসভায় নেই কোনো নারী সদস্য। এমনকি নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও মানা করে দিয়েছে তারা।

বর্তমান পরিস্থিতিতে তালেবান সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ বিশ্বের স্বীকৃতি আদায় এবং দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা।

আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব বলছে, স্বীকৃতি পেতে হলে তালেবানকে আগে সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে মানবাধিকার ও নারী অধিকার।

এ বিভাগের আরো খবর