জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে মধ্য-বামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির কাছে (এসপিডি) হেরেছে অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের রক্ষণশীল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ)।
আগে থেকে বলা হচ্ছিল, জার্মানিতে এবারের নির্বাচন খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। কারা জয় পাবে, কোনো জরিপে তা স্পষ্ট হচ্ছিল না। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া ফলাফল বলছে, অল্প ব্যবধানে হেরেছে সিডিইউ। এতে ১৬ বছরের ক্ষমতা হারানোর বড় শঙ্কায় পড়েছে তারা।
প্রাথমিক ফলাফল তুলে ধরে রয়টার্স ও বিবিসি জানিয়েছে, রোববারের নির্বাচনে মোট ভোটের ২৬ শতাংশ পেয়েছে এসপিডি। অন্যদিকে মেরকেলের দল পেয়েছে ২৪.৫ শতাংশ ভোট। তবে উভয় দল মনে করছে, জার্মানির পরবর্তী সরকারের নেতৃত্বে তারাই থাকবে।
কোনো দল পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত না করতে পারলে বৃহৎ জোট সরকারে যেতে হবে উভয় দলকে। জটিলতাপূর্ণ এই জোটে কারা এগিয়ে থাকে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
নতুন জোট সরকারে থাকতে পারে পরিবেশবাদী দল গ্রিন পার্টি ও লিবারেল ফ্রি ডেমোক্র্যাটসের মতো ছোট (এফডিপি) দলও।
ভোট শেষে নির্বাচনের অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চ্যান্সেলর প্রার্থী ওলাফ শুলজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সব জরিপে আমরাই এগিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘এটি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক বার্তা। জার্মানিতে কার্যকর ও প্রায়োগিক সরকার নিশ্চিতে আমাদের উদ্দেশে জনগণের পরিষ্কার ম্যান্ডেট এই ফল।’
২০১৭ সালের জাতীয় নির্বাচনে ২০.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে উইলি ব্র্যান্ড, হেলমুত শ্মিদ ও গেরহার্ড শ্রোয়েডার পর সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চতুর্থ নেতা ৬৩ বছর বয়সী শুলজ জার্মানির চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন। মেরকেলের মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী শুলজ জার্মানির হামবুর্গ শহরের মেয়রও ছিলেন।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ছবি: এএফপি
এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। তবে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন তিনি। চলতি বছরের বড়দিনের আগে জার্মানিতে নতুন সরকার গঠন হচ্ছে না, এটা প্রায় নিশ্চিত।
নির্বাচনে পরাজয় মানতে রক্ষণশীল শিবির এখন পর্যন্ত প্রস্তুত নয় বলে জানিয়েছেন শুলজের প্রতিদ্বন্দ্বী আরমিন ল্যাশেট। অবশ্য নির্বাচনের প্রাথমিক ফল দেখে তার সমর্থকরা আর কোনো উচ্চবাচ্য করছেন না।
গোলটেবিল বৈঠকে ৬০ বছর বয়সী ল্যাশেট বলেন, ‘ভোটে এগিয়ে থাকা দল থেকেই চ্যান্সেলর নিয়োগ হয়েছে, এমনটি সব সময় হয়নি।
‘সব দলের অংশগ্রহণ রয়েছে আমি এমন একটি সরকার দেখতে চাই। যেখানে সব দলের নেতাকে জনগণ দেখবে। শুধু চ্যান্সেলরকেই মানুষ চিনবে না।’