পশ্চিমবঙ্গে প্রথমবারের মতো ফুসফুস প্রতিস্থাপনের দুই দিন পর মারা গেছেন সেই গ্রহীতা। শরীরে রক্তক্ষরণ আর একের পর এক অঙ্গ বিকল হয়ে শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এক করোনামুক্ত রোগী ১০৬ দিন একমো সাপোর্টে ছিলেন। ৪৬ বছরের ওই ব্যক্তির ফুসফুস খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তার ফুসফুস প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেন।
পরিবারের চেষ্টায় গুজরাটের সুরাটে এক ব্যক্তির মরণোত্তর দানের ফুসফুস পাওয়া যায়। কলকাতা ও সুরাটের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে সুরাট থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এবং কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রিন করিডর অর্থাৎ রাস্তার সব সিগন্যাল সবুজ করে ফুসফুসবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছায়।
প্রায় ছয় ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর ওই রোগীর দেহে ফুসফুসটি বসান পাঁচ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল। এদের নেতৃত্বে ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক কুনাল সরকার।
ফুসফুস প্রতিস্থাপন একটি জটিল প্রক্রিয়া। প্রতিস্থাপনের ৭২ থেকে ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে ফুসফুসের দেয়ালে রক্তক্ষরণ এবং হৃদযন্ত্রের ডান দিকের অংশে দুর্বলতার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকে। গ্রহীতার শরীর দাতার ফুসফুস প্রত্যাখ্যান করতে পারে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।