পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোট প্রচার এখন তুঙ্গে। ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ, ভোট গণনা ৩ অক্টোবর। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বহাল থাকতে হলে এখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের বিকল্প নেই। আর তাই রাজনীতির খেলায় বিজেপি ‘ভোটের চক্রান্ত’ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন মমতা।
ভোট প্রচারে বুধবার চেতলায় গিয়ে মমতা এ উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ভবানীপুরে বহিরাগতদের আনার চেষ্টা হচ্ছে। বিজেপি নানারকম চক্রান্ত করবে। তারা ভবানীপুরের মাটি চেনে না। পূজার আগে আপনারা মাথা ঠান্ডা রেখে ভোট দিন।’
গত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে হেরে গিয়েও ৫ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন।সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, তিনি ভবানীপুরের আসনটিতে হারলে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। তাই সবার আগ্রহের কেন্দ্রে এখন এই আসনের উপনির্বাচন।
তৃণমূল নেত্রী এসব বিষয় মাথায় রেখে বলেন, ‘তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, আমি যদি জিততে না পারি তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অন্য কেউ হবেন। এখানে ভোটে হারলে আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবো না, এটা আমি আপনাদের কাছে বলে গেলাম।
‘আপনার ভোটটা কেন প্রয়োজন, তা বলেছি। এখন ঝড়-বৃষ্টি হলেও সবাই ভোট দিতে বের হবেন।’
অতীত তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘আমি এখানে ছোট থেকে বড় হয়েছি। মা বলেছিলেন, তুই এখানে একবার দাঁড়ালে আমি তোকে একটা ভোট দিতাম। আমারও তো আমার মেয়েকে ভোট দিতে ইচ্ছে করে।
‘আমি সাত দফায় সংসদ সদস্য হয়েছি। প্রতিবার খিদিরপুর সঙ্গে ছিল। ২০১১ ও ২০১৬ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হয়েছি। এটা ভাগ্যের খেলা, এবার মুখ্যমন্ত্রী হলে তা হবে ভবানীপুর থেকেই।’
ভোট প্রচারে এবার তৃণমূল কর্মীরা বাংলার মেয়ে, পাড়ার মেয়ে, ঘরের মেয়ে, ভবানীপুরের মেয়ে এসব শ্লোগান তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়লাভকে সহজ করতে চাইছে।আলোচিত এ উপনির্বাচনে ভোট প্রচারের জন্য আর পাঁচ দিন হাতে আছে। শেষ সময়ে তৃণমূলের প্রচারে তাই ঘুরে ফিরে আসছে বিজেপির কর্মকান্ড। বিজেপি বহিরাগত এনে এখানে ভোটে ঝামেলা করতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা নিজেই।
ত্রিপুরায় অভিষেকের পদযাত্রায় বাধার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘বিজেপি ভয় পায়, তাই বাধা দেয়। তৃণমূল ভয় পায় না, তাই ঢুকতে দেয়। বিজেপির এখানে কেউ নেই, সব বহিরাগতরা প্রচার করছে। ওদের জিজ্ঞেস করুন, মানুষের জন্য তারা কি করেছে?’