বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাতিজির বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ১০ কোটি ডলারের মামলা

  •    
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৫৯

মামলার প্রতিক্রিয়ায় মেরি ট্রাম্প চাচার বিষয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি হেরে যাওয়া একটা মানুষ, যে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় মরিয়া হয়ে হাতের কাছে যা পাচ্ছে, তাই ছুঁড়ে মারছে। সবসময় এভাবেই তিনি তার দিক থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিজের ভাতিজি মেরি ট্রাম্প ও প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ডলারের মামলা করেছেন।

নব্বইয়ের দশকে ট্রাম্পের কর জালিয়াতির বিষয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ইস্যুতে মামলাটি দায়ের হয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক টাইমসের ২০১৮ সালের ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সংবাদমাধ্যমের জন্য সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুলিৎজার পুরষ্কারও পেয়েছিল।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিউইয়র্কের ডাচেস কাউন্টিতে মঙ্গলবার মামলাটি করা হয়েছে। এতে মেরি ট্রাম্পের পাশাপাশি আসামি করা হয়েছে পত্রিকাটির তিন প্রতিবেদক সুজান ক্রেইগ, ডেভিড বার্সটো ও রাস বিউটনারকে।

তারা ট্রাম্পের করবিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তার ব্যক্তিগত তথ্যে চরম অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।

মামলার ২৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘গোপন ও উচ্চ স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে গভীর ষড়যন্ত্র করেছিল আসামিরা। এরপর সেসব তথ্য তারা নিজেদের স্বার্থে এবং নিজেদের কাজের মিথ্যা বৈধতা অর্জনের উপায় হিসেবে ব্যবহার করেছে।’

প্রতিবেদনটি ‘ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ছিল বলেও দাবি করা হয় মামলায়।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছিল, উত্তরাধিকার সূত্রে বাবা ফ্রেড ট্রাম্পের আবাসন ব্যবসা থেকে তৎকালীন বাজারমূল্যে ৪০ কোটি ডলারের বেশি সম্পদ পেয়েছিলেন ডনাল্ড জন ট্রাম্প। এ সম্পদের বেশিরভাগই তিনি উপার্জন করেছিলেন কর ফাঁকি দিয়ে।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ২০২০ সালে একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেন ডনাল্ড ট্রাম্পের ভাতিজি মেরি ট্রাম্প। তিনি ডনাল্ড ট্রাম্পের বড় ভাই ফ্রেড ট্রাম্প জুনিয়রের মেয়ে। অতিরিক্ত মদ্যপানজনিত জটিলতায় ১৯৮১ সালে মৃত্যু হয় ফ্রেড ট্রাম্প জুনিয়রের।

বই হিসেবে প্রকাশিত মেরি ট্রাম্পের স্মৃতিকথার নাম ‘টু মাচ অ্যান্ড নেভার ইনাফ: হাও মাই ফ্যামিলি ক্রিয়েটেড দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ডেঞ্জারাস ম্যান’। বলা বাহুল্য যে বইয়ের শিরোনামে উল্লেখিত ‘বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তি’টি আর কেউ নন, স্বয়ং মেরি ট্রাম্পের চাচা ডনাল্ড ট্রাম্প।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের তথ্যও নিজের বইয়ে ব্যবহার করেছিলেন মেরি ট্রাম্প।

মামলার প্রতিক্রিয়ায় এনবিসিকে মেরি ট্রাম্প চাচার বিষয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি হেরে যাওয়া একটা মানুষ, যে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় মরিয়া হয়ে হাতের কাছে যা পাচ্ছে, তাই ছুঁড়ে মারছে। সবসময় এভাবেই তিনি তার দিক থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন।’

নিউইয়র্ক টাইমসের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি নাগরিকদের কল্যাণে ছিল। জনস্বার্থকে উপেক্ষা করে ঘটানো একটি ঘটনা জনগণের চোখের সামনে তুলে ধরেছিলাম আমরা।

‘এই মামলা স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চেষ্টা। যে কোনো মূল্যে এ চেষ্টা প্রতিহত করব আমরা।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের কর দাখিল সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের নিয়ম থাকলেও নিজের আর্থিক বিষয়াদি বরাবরই লোকচক্ষুর আড়ালে রাখার চেষ্টা করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্প ও তার ব্যবসায়িক লেনদেনের বিষয়ে বেশ কিছু অনুসন্ধানে আলো ফেলেছে করবিষয়ক নথিপত্র। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগকে (আইআরএস) ট্রাম্পের কর দাখিল সংক্রান্ত নথিপত্র কংগ্রেসের সংশ্লিষ্ট কমিটিতে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর