বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগানিস্তানে তালেবান শাসনে ভারতে হেরোইন পাচার বাড়ছে

  •    
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৬:৫৮

ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যেভাবে বিপুল পরিমাণ হেরোইন ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা চলছে এখন, তাতে এটা স্পষ্ট যে মাদক মাফিয়ারা মজুত খালি করার তোড়জোড় চলছে। তাহলে তালেবানের শাস্তি থেকে বেঁচে যাওয়া আর হেরোইন জব্দে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি কমে যাবে।’

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাদক চোরাচালানে জড়িত বিভিন্ন চক্র হঠাৎই ভারতে নিষিদ্ধ হেরোইন পাচার বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের নিরাপত্তায় ও পাচার দমনে তৎপর কয়েকটি সরকারি সংস্থা এ দাবি করেছে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি গুজরাট উপকূলে বিপুল পরিমাণ হেরোইন জব্দের ঘটনায় এমন সমীকরণে পৌঁছেছে ভারতীয় গোয়েন্দারা। তাদের মতে, আফগানিস্তানে তালেবানের শাসন প্রতিষ্ঠার ফলে চাপে রয়েছে মাদক পাচারকারীরা।

বিবিসির মঙ্গলবারের একটি প্রতিবেদনে গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর থেকে তিন টনের বেশি হেরোইন জব্দের খবর প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, এর সম্ভাব্য মূল্য প্রায় ২৭০ কোটি ডলার। আফগানিস্তান থেকে ইরানের বান্দার আব্বাস পোর্ট হয়ে ভারতে পৌঁছায় চালানটি। কাগজপত্রে চালানটিতে ট্যাল্ক পাথর থাকার কথা উল্লেখ ছিল।

ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি), রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিআরআই) ও গুজরাটের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের (এটিএস) কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, আফগানিস্তানে উৎপাদিত হেরোইন ভারতে পাচারে অব্যাহত চেষ্টা চালাচ্ছে অপরাধী চক্রগুলো।

সংস্থাগুলোর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, নিরাপদে মাদক পাচারে ইরান হয়ে সমুদ্রপথের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের চেষ্টা করছে চোরাকারবারিরা।

না হলে মাদকসম্রাটদের শঙ্কা, তালেবানের হাতে ধরা পড়লে সোজা মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে তাদের। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ হেরোইনের সন্ধান পেলে তালেবান যদি তা জব্দ করে, তাহলে অপ্রত্যাশিত আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা তো আছেই।

এসব কারণেই ভারতে মাদকের অনুপ্রবেশ তীব্র রূপ নিয়েছে বলে জানান গোয়েন্দারা।

এনসিবির এক কর্মকর্তা জানান, ভারতীয় জলসীমায় যে অস্বাভাবিক হারে হেরোইনের চালান ধরা পড়ছে, তা উপেক্ষা করার উপায় নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মুন্দ্রা বন্দরে তিন হাজার কেজি হেরোইন জব্দের বিষয়টি এখনও খতিয়ে দেখছে ডিআরআই। ওই হেরোইন আফগানিস্তান থেকে চোরাই পথে এসেছে। আফিম উৎপাদনে আফগানিস্তান শীর্ষ দেশ। সেই সঙ্গে আফিম থেকে হেরোইন তৈরির জন্য দেশটিতে প্রযুক্তিও আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে বিপুল পরিমাণ হেরোইন ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা চলছে এখন, তাতে এটা স্পষ্ট যে মাদক মাফিয়ারা মজুত খালি করার তোড়জোড় চলছে। তাহলে তালেবানের শাস্তি থেকে বেঁচে যাওয়া আর হেরোইন জব্দে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি কমে যাবে।’

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয় ইউএনওডিসির তথ্য অনুযায়ী, আফিমের সর্ববৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। সারা বিশ্বে আফিম সরবরাহের ৮০ শতাংশের বেশি চাষ হয় আফগান ভূখণ্ডে। পপি গাছের বিশেষ একটি প্রজাতির নির্যাস আফিম থেকে হেরোইনসহ বিভিন্ন উচ্চ মাত্রার মাদক তৈরি করা হয়।

জাতিসংঘ আরও জানায়, আফগানিস্তানে আফিম চাষে ২০১৯ সালে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছিল প্রায় ১২ হাজার মানুষের।

ধারণা করা হয়, তালেবানের বার্ষিক আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশের উৎস অবৈধ মাদক বাণিজ্য।

এ বিভাগের আরো খবর