ভারতে এত দিন সবচেয়ে গভীর মেট্রোরেল স্টেশন ছিল দিল্লির হাউস খাস। ভূপৃষ্ঠ থেকে স্টেশনটির গভীরতা ৩০ মিটার।
পশ্চিমবঙ্গে নির্মাণাধীন হাওড়া মেট্রো স্টেশন গভীরতায় দিল্লির স্টেশনটিকে ছাড়িয়ে গেছে। ভারতের সবচেয়ে গভীর এ মেট্রোরেল স্টেশনে চড়তে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২ দশমিক ৪ মিটার নিচে নামতে হবে যাত্রীদের।
এক মিনিটে হাওড়া থেকে ধর্মতলা
হুগলি নদীর ৩০ মিটার গভীরে ৫২০ মিটারের দুটি টানেল দিয়ে চলবে হাওড়া মেট্রো। টানেলের এক প্রান্তে হাওড়া, অন্য প্রান্তে মহাকরণ।
ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে নদীর তলা দিয়ে ছুটবে এ ট্রেন। হাওড়া থেকে ধর্মতলা পৌঁছতে সময় লাগবে ১ মিনিট।
হাওড়া মেট্রো স্টেশনকে ‘দ্য ডিপেস্ট সাবওয়ে স্টেশন’ (গভীরতম পাতাল রেল) বলেছে ভারতের রেল বোর্ড। এ স্টেশনে ট্রেন চালু হওয়ার সম্ভাবনা ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে। জোর কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
রেলওয়ে সূত্রের খবর, হাওড়া মেট্রো স্টেশন গঠনের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে ফিনিশিং টাচ।
কী আছে স্টেশনে
ভূমি থেকে ১০৫ ফুট নিচে এ স্টেশনে যেতে চারটি লেভেল, পাঁচটি স্ল্যাব পার হতে হবে। সিঁড়ি দিয়ে চলতে যাদের অসুবিধা, তাদের জন্য রয়েছে ১২টি চলন্ত সিঁড়ি বা অ্যাসকেলেটর। তা ছাড়া থাকছে ছয়টি লিফট।
স্টেশনে থাকছে তিনটি প্ল্যাটফর্ম। হাওড়া ময়দান স্টেশন বা মহাকরণ, যেদিক দিয়ে ট্রেন আসুক না কেন, হাওড়া মেট্রো স্টেশনে রেকের দুই দিকের দরজা খুলে যাবে। যাত্রী চাপ সামলাতে এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
দেশের ব্যস্ততম হওয়ায় কলকাতা মেট্রোর ইস্ট-ওয়েস্টে হাওড়া স্টেশনকে ‘কী স্টেশন’ বলা হয়েছে।
‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’
ভারতে প্রথম নদীর তল দিয়ে মেট্রো চলার পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছিলেন দেশটির রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। সে উদ্যোগের বাস্তবায়ন দেখতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।