দেশত্যাগী আফগান ও আমেরিকান-ইউরোপিয়ানসহ ২৩০ জনের বেশি আরোহী নিয়ে কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে গেছে আরেকটি চার্টার ফ্লাইট। আগের তিনটি চার্টার ফ্লাইটের মতোই চতুর্থটিরও গন্তব্য কাতারের রাজধানী দোহা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোববার কাবুল বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয় কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি। আরোহীদের প্রাথমিকভাবে রাখা হবে দোহায় আগে থেকে আশ্রিত আফগান ও অন্যান্য উদ্ধারকৃতদের সঙ্গে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে কাতারের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোলওয়াহ রশিদ আল খাতের জানান, বিমানটিতে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের নাগরিক ছিলেন।
কাতারের আরেক কর্মকর্তা জানান, বিমানটিতে ২৩৬ জন আরোহী ছিলেন। ৩১ আগস্ট আফগান ভূখণ্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন জোটের সেনা প্রত্যাহারের পর এই বিমানেই প্রথম একসঙ্গে এত বেশি মানুষকে কাবুল থেকে বের করে নেয়া হলো।
তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে স্বাধীন চলাচলের পরিবেশ নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে যাচ্ছে কাতার। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের উন্নয়নমূলক অগ্রগতি নিশ্চিতে সেখানকার বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে।’
তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ২৭ দিন পর গত ৯ সেপ্টেম্বর হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় কাতার এয়ারওয়েজের প্রথম চার্টার ফ্লাইট। সেটিতে বেশিরভাগ বিদেশিসহ ১১৩ আরোহী ছিলেন। দেশত্যাগী আফগান ও বিদেশিসহ উদ্ধারকৃতদের নিয়ে দ্বিতীয় চার্টার ফ্লাইটটি কাবুল ছাড়ে ১০ সেপ্টেম্বর।
পশ্চিমা বিশ্ব ও আফগানিস্তানের নতুন শাসকদল তালেবানের সঙ্গে মধ্যস্থতায় দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে কাতার।
পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশটি। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি কাতারে অবস্থিত। ২০১৩ সাল থেকে দেশটিতে তালেবানের একটি রাজনৈতিক কার্যালয়ও চালু আছে।