বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া মিথ্যাচার করেছে: ফ্রান্স

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:১৬

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনী তিন দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি অকাস প্যাক্ট। এর মাধ্যমে পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ ডুবোজাহাজ তৈরিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। চীনের আঞ্চলিক আধিপত্য রোধের চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে ঐতিহাসিক চুক্তিটিকে।

পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াকে ‘মিথ্যাবাদী’ আখ্যা দিয়েছে ফ্রান্স।

এ ‌‌মিথ্যাচারের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভস লে দ্রিয়ান।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের বিরুদ্ধে ‘আস্থা ভঙ্গ, প্রতারণা ও অবমাননার’ অভিযোগ তুলেছেন দ্রিয়ান।

অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ নির্মাণের ক্ষমতা দিয়ে বুধবার নতুন চুক্তির ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

অকাস প্যাক্ট হিসেবে পরিচিত ত্রিদেশীয় এ চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ১২টি ডুবোজাহাজ তৈরির চুক্তি হারিয়েছে ফ্রান্স। ২০১৬ সালে হয়েছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের প্যারিস-মেলবোর্ন চুক্তিটি।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলছেন, জাতীয় স্বার্থে যা ভালো বলে মনে হয়েছে, তাই করেছেন তিনি।

মরিসন বলেন, ‘ফরাসি সরকারের বুঝতে হবে যে, ওই চুক্তিতে আমাদের কৌশলগত স্বার্থ অর্জিত হচ্ছিল না, যা আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝি যে ফরাসি সরকারের জন্য এটা গভীর হতাশার বিষয়। কিন্তু একই সঙ্গে অন্য যেকোনো সার্বভৌম দেশের মতো নিজেদের সার্বভৌম জাতীয় প্রতিরক্ষা স্বার্থ অর্জনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার অস্ট্রেলিয়ারও আছে।’

প্রায় পাঁচ বছর আগে হয় প্যারিস-মেলবোর্ন প্রতিরক্ষা চুক্তি। অকাসের কারণে ভেস্তে গেছে এ পুরোনো চুক্তিটি। অকাস নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে বিষয়টি জানতে পারে ফ্রান্স।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার ফ্রান্স টু টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংকট তীব্র হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘ইতিহাসে প্রথমবার ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে এতটা বিরোধ তৈরি হয়েছে যে, আমাদের রাষ্ট্রদূতদেরও ডেকে পাঠাতে হয়েছে।’

কিন্তু ত্রিদেশীয় চুক্তিতে থাকা যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি কেন প্রশ্ন করা হলে ক্ষুব্ধ দ্রিয়ান বলেন, ‘দুই রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়নের জন্য। যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে হয়নি। কারণ দেশটি বরাবরই সুযোগসন্ধানী।

‘পুরো ঘটনায় ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকা তিন নম্বর চাকার মতো ছিল।’

নবনিযুক্ত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস চুক্তির পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, ‘প্রতিরক্ষার প্রশ্নে নিজেদের স্বার্থে যেকোনো সময় কঠোর হতে যুক্তরাজ্য প্রস্তুত।’

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনী তিন দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি অকাস প্যাক্ট। এর মাধ্যমে পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ ডুবোজাহাজ তৈরিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

চীনের আঞ্চলিক আধিপত্য রোধের চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে ঐতিহাসিক চুক্তিটিকে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ চীনও।

এ বিভাগের আরো খবর