বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৮ বছর পর ক্যাডবেরির বিজ্ঞাপনে বিপরীত ভূমিকায় নারী

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:০৬

চকলেট যে শুধু শিশুদের জন্য নয়, এ ধারণা পাল্টে দেয়ার জন্য সাধুবাদ কুড়িয়েছিল নিউইয়র্কভিত্তিক ব্রিটিশ বিজ্ঞাপনী সংস্থা ওগিলভি। নতুন শতকে একই পণ্যের বিজ্ঞাপন নতুন আঙ্গিকে টেলিভিশনের পর্দায় নিয়ে এসেছে ক্যাডবেরি ও ওগিলভি, যেখানে পাল্টে গেছে জেন্ডার ভূমিকা।

বহুজাতিক কনফেকশনারি জায়ান্ট ক্যাডবেরির নব্বইয়ের দশকের একটি বিজ্ঞাপন সাড়া জাগিয়েছিল ভারত উপমহাদেশে। ফুলেল পোশাকে ভারতীয় মডেল শিমোনা রাশিকে ওই বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামে দর্শকের সারিতে বসে চকলেট খেতে।

প্রায় দুই দশক পর নতুন করে বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছে ক্যাডবেরি ডেইরি মিল্ক ইন্ডিয়া। মডেলরা তো আলাদা বটেই, সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ার মতো বিষয়টি হলো- নতুন বিজ্ঞাপনে উল্টে গেছে নারী ও পুরুষের ভূমিকা।

১৯৯৩ সালের বিজ্ঞাপনটিতে বন্ধুর শেষ ব্যাটে দলের বিজয় নিশ্চিতের পর নিরাপত্তা ক্যামেরাকে ফাঁকি দিয়ে নাচতে নাচতে মাঠে ঢুকে গিয়েছিলেন শিমোনা। খেলোয়াড়ের ভূমিকায় সে সময় মাঠে ছিলেন শুধু পুরুষরাই।

বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছিল নিউইয়র্কভিত্তিক ব্রিটিশ বিজ্ঞাপনী সংস্থা ওগিলভি। চকলেট যে শুধু শিশুদের জন্য নয়, এ ধারণা পাল্টে দেয়া বিজ্ঞাপনের জন্য বেশ সাধুবাদ কুড়িয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

বড়রাও যখন-তখন যে কোনো সময়, এমনকি সুসংবাদে মিষ্টিমুখের বদলেও চকলেট খেয়ে মুখ মিষ্টি করতে পারেন- সে ধারণারই প্রবর্তন করেছিল ওগিলভি।

নতুন শতকে একই পণ্যের বিজ্ঞাপন নতুন আঙ্গিকে টেলিভিশনের পর্দায় নিয়ে এসেছে ক্যাডবেরি ও ওগিলভি। এতে ভারতে ক্রিকেটকে পুরুষের খেলা হিসেবে প্রচলিত জনমত পাল্টে দিতে ব্যাটসম্যান, ফিল্ডার, উইকেট কিপারের ভূমিকায় দেখানো হয়েছে নারীদের।

শেষ ছক্কায় ম্যাচ জেতানো নারীকে স্বাগত জানাতে দর্শকের আসনে থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নাচতে নাচতে মাঠে ঢোকেন তার পুরুষ বন্ধু, জড়িয়ে ধরেন নারী ব্যাটসম্যানকে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবারও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে নতুন এ বিজ্ঞাপন। ক্যাডবেরি-ওগিলভির নতুন-পুরোনো দুটি বিজ্ঞাপনই পেয়েছে কোটি কোটি শেয়ার।

পুরোনো বিজ্ঞাপনের মতোই নতুন বিজ্ঞাপনেরও থিম- ‘ওয়াক্ত বাদলা হ্যায়, জিন্দেগি কা সোয়াদ নেহি’; যার বাংলা করলে দাঁড়ায়- ‘সময় বদলেছে, জীবনের স্বাদ নয়’।

এ বিভাগের আরো খবর