কোরীয় উপদ্বীপে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে অঞ্চলটিতে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশ উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরাতে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যেই পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনা ঘটলো।
জাপানের কোস্টগার্ডের বরাতে সিএনএন জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিটে একটি ও পাঁচ মিনিট পর আরেকটি স্বল্প মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ায় মধ্যাঞ্চল থেকে জাপান সাগর লক্ষ্য করে ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার উচ্চতায় ৮০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
এদিকে জাপান সরকার বলছে, উত্তর কোরিয়া থেকে ছোঁড়া ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভেতরে আঘাত হেনেছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা উত্তর কোরিয়ার এ পরীক্ষাকে ‘ভয়াবহ’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। আর তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এ ঘটনা কেবল প্রতিবেশী দেশগুলো জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি।
পিয়ংইয়ং এর এই পরীক্ষার কিছু পর পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় সিউল। এদিন দক্ষিণ কোরিয়া প্রথমবারের মতো পানির নিচ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মিসাইলটি ৩ হাজার ৭০০ টনের। এটি সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তবে কোন জায়গা থেকে এটি উৎক্ষেপণ হয়েছে বা কোথায় আঘাত হেনেছে তা জানানো হয়নি।
মিসাইল পরীক্ষার সময় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জ্যায়ে ইন উপস্থিত ছিলেন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় তারা এই পরীক্ষা চালায়নি। এটা তাদের পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচি।