বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেসিডেন্ট হত্যা: হাইতির প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:৩২

তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, প্রেসিডেন্ট নিহতের পর হত্যাকাণ্ডের মূল সন্দেহভাজন ও পলাতক জোসেফ ফেলিক্স বাদিওর সঙ্গে দুইবার ফোনে কথা বলেন এরিয়েল হেনরি। এ অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও ‘সন্দেহের বীজ বুনে বিভক্তি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

হাইতির প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোউস হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলা অবস্থায় দেশের বাইরে যেতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি। মোউসকে হত্যার ঘটনায় হেনরির সম্পৃক্ততার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হেনরির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পদক্ষেপ নিয়েছেন এক কৌঁসুলি। হত্যার অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন জোসেফ ফেলিক্স বাদিওর সঙ্গে কী সম্পর্ক, তা হেনরির কাছে জানতে চেয়েছেন ওই কৌঁসুলি।

ফোনের রেকর্ড পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট নিহতের কয়েক ঘণ্টা পর একাধিকবার ফোনে কথা বলেন হেনরি ও বাদিও।

গত ৭ জুলাই মধ্যরাতে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে মোউসকে হত্যা করে সশস্ত্র বন্দুকধারীরা।

ফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠান ডিজিসেলের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে কৌঁসুলিরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, মোউসের মৃত্যুর কিছু সময় পর দুই বার ফোনে যুক্ত হয়েছিলেন হেনরি ও বাদিও। হাইতির আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বাদিওর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টকে হত্যার পরিকল্পনা করার অভিযোগ রয়েছে।

অবস্থান শনাক্তে জিওলোকেশন তথ্য বিশ্লেষণেও দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলের খুব কাছেই অবস্থান করছিলেন বাদিও। প্রেসিডেন্ট হত্যার পর থেকেই পলাতক বাদিওকে তিন মাস ধরে খুঁজছে পুলিশ।

এ ইস্যুতে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি হেনরি।

প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পর তুমুল অস্থিতিশীল দেশকে অচলাবস্থা থেকে ফেরানোর পথ হিসেবে সে মাসেই নতুন সরকারপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় হেনরিকে। গত মাসে প্রলয়ঙ্কারী ভূমিকম্পের পর আরও জটিল রূপ নেয় হাইতির পরিস্থিতি।

গত সোমবার প্রধান কৌঁসুলি বেড-ফোর্ড ক্লদকে বরখাস্তের লক্ষ্যে চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী হেনরি। ক্লদের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর প্রশাসনিক অপরাধের’ অভিযোগ করা হয় চিঠিতে। পরে ক্লদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে আরেকজনকে মনোনয়নও দেন তিনি।

কিন্তু মঙ্গলবার স্বপদে বহাল বলে জানান ক্লদ। মোউসে হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে জড়িতদের বের করে আনতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে চান বলে এক বিচারককে আনুষ্ঠানিকভাবে জানান তিনি। হত্যাকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীও ‘জড়িত ছিলেন বলে নিজের সন্দেহে’র কথাও জানান প্রধান কৌঁসুলি।

বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, হাইতির আইন বা সংবিধানে কৌঁসুলিকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী রাখেন না।

বেশ কয়েকটি হুমকির ঘটনায় ক্লদের সুরক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইতির আইনমন্ত্রী।

এদিকে, নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও ‘সন্দেহের বীজ বুনে বিভক্তি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে দাবি করেছেন হেনরি।

এর আগে বাদিওকে চিনতেন বলে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় বাদিওর পক্ষে কথা বলেন হেনরি। তিনি জানান, বাদিও এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে বিশ্বাস করেন না তিনি, কারণ বাদিওর পক্ষে এমন ঘটনা ঘটানো সম্ভবই নয়।

প্রেসিডেন্ট হত্যায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে হাইতির পুলিশ। এদের মধ্যে ১৮ জন প্রতিবেশী কলম্বিয়ার সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর