তালেবানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের পাঞ্জশির প্রদেশে ২০ বেসামরিক নাগরিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বিবিসির বরাতে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সম্প্রতি এক ভিডিওতে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর পোশাক পরা এক ব্যক্তিকে ঘিরে ধরেছে তালেবান যোদ্ধারা। বন্দুকের গুলিতে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জোর দিয়ে জানান, ওই ব্যক্তি পাঞ্জশিরের বেসামরিক নাগরিক।
বিবিসি জানিয়েছে, পাঞ্জশিরে এ ধরনের আরও ২০টি ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়।
নিহতদের একজন আব্দুল সামি, পেশায় দোকানদার। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, তালেবান হামলা চালালে পাঞ্জশির ছেড়ে পালাতে রাজি হননি সামি।
পাঞ্জশির তালেবানের দখলে যাওয়ার পর সামিকে গ্রেপ্তার করে তালেবান যোদ্ধারা। তালেবানবিরোধী যোদ্ধাদের কাছে সিম কার্ড বিক্রির অভিযোগ আনে তালেবান।
পরে নিজের বাড়ির কাছে সামির মরদেহ পাওয়া যায়।
আফগানিস্তানের সাবেক সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নাসির আহমেদ আনদিশা মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে দেশটির বিপর্যস্ত মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
তিনি জানান, তালেবানের শাসনে নারী অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর দেশটির গজনি প্রদেশে জাতিগত সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের ৯ ব্যক্তির নিহতের বিস্তারিত বিবরণ সম্প্রতি দেয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট জানান, আফগান জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর (এএনএসএফ) সদস্য, আগের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তালেবান প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের ছেড়ে দেয়া হলেও অনেককে মৃত উদ্ধার করা হয়।’
গত মাসে তালেবান আফগানিস্তানের সব প্রদেশ দখলে সক্ষম হলেও স্থানীয়দের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি।
গত মাসের শেষে তালেবানের সঙ্গে পাঞ্জশিরের প্রতিরোধ বাহিনীর তীব্র লড়াইয়ের একপর্যায়ে প্রদেশটি দখলে নেয় সংগঠনটি।