বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বর্ণিল পোশাক পরে হিজাবের প্রতিবাদ আফগান নারীদের

  •    
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৩৯

আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ আফগানিস্তানের সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার বাহার জালালি টুইটবার্তায় বলেন, ‘আফগানিস্তানের ইতিহাসে কেউ কখনো এমন পোশাক পরেনি। এটি পুরোপুরি বিদেশি পোশাক। আফগান সংস্কৃতিতে এ ধরনের পোশাক প্রতিনিধিত্ব করে না।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করেছে তালেবান।

কট্টরপন্থি সংগঠনটির এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা আফগান নারীরা।

একই সঙ্গে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আফগানিস্তানের ঐতিহ্যগত রঙিন পোশাক পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ছবি পোস্টও করেছেন তারা।

সম্প্রতি নারী-পুরুষের একসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস করা নিষিদ্ধ করে তালেবান।

পাশাপাশি তালেবানের শরিয়াহ আইনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী নারী শিক্ষার্থী, প্রভাষক ও কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরতে বলা হয়।

শনিবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে কাবুলের শহীদ রব্বানি বিশ্ববিদ্যালয়ে আপাদমস্তক ঢাকা পোশাকে তালেবানের পতাকা হাতে একদল শিক্ষার্থীকে ক্লাসে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

প্রতিবাদে উজ্জ্বল ও রংবেরঙের আফগান পোশাক পরে নারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মঙ্গলবার নিজেদের ছবি পোস্ট করেন।

কালো পোশাক ও পর্দা পরিহিত নারী শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ আফগানিস্তানের সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার বাহার জালালি টুইটবার্তায় বলেন, ‘আফগানিস্তানের ইতিহাসে কেউ কখনো এমন পোশাক পরেনি।

‘এটি পুরোপুরি বিদেশি পোশাক। আফগান সংস্কৃতিতে এ ধরনের পোশাক প্রতিনিধিত্ব করে না।

‘আফগানিস্তানের ঐতিহ্যগত পোশাক পরে আমি বিশ্ববাসীর সামনে আমাদের প্রকৃত সংস্কৃতি তুলে ধরতে চাইছি।

‘তালেবান নারীদের যে পোশাক পরতে বাধ্য করছে, তা আফগান নারীদের পোশাক নয়।’

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জালালির ওই টুইট উৎসাহিত করে বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা আরও আফগান নারীদের।

এদের মধ্যে রয়েছেন জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের আফগান শাখার প্রধান ওয়াসলাত হাসরাত-নাজিমি।

ওয়াসলাতও উজ্জ্বল পোশাকে হাজির হয়ে টুইটবার্তায় বলেন, ‘এটিই আফগান সংস্কৃতি। আফগান নারীরা এভাবেই পোশাক পরেন।’

সোদাবা হাইদারি (বামে) ও পেয়মানা আসাদ। ছবি: সিএনএন

লন্ডনে বিবিসির আলোচিত সাংবাদিক সানা সাফি নিজের ছবি পোস্ট করে বলেন, ‘আফগানিস্তানে থাকলে আমার মাথায়ও কাপড় থাকত।’

বিবিসির আরেক সাংবাদিক সোদাবা হাইদারি নিজের পোশাক সম্পর্কে বলেন, ‘এটি আমাদের ঐতিহ্যগত পোশাক। আমাদের পোশাক অনেক বর্ণিল।

‘এমনকি আমাদের চাল ও পতাকায়ও অনেক রঙের সমাবেশ দেখা যায়।’

আফগান বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের স্থানীয় রাজনীতিক পেয়মানা আসাদ বলেন, ‘তালেবান নারীদের যে পোশাক পরতে বলছে, তা আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর