চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশের একটি প্রাথমিক স্কুল থেকে ভাইরাসটির ফের সংক্রমণের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহে ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থীর বাবার করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। তার থেকে করোনা ছড়ায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৩৮ দিন সিঙ্গাপুরে থেকে ৪ আগস্ট দেশে ফেরেন ওই অভিভাবক।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ফিরে ২১ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ওই ব্যক্তি। ওই সময় তার ওপর করা সব পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে।
দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা সংক্রমিত হয়েছিলেন কি না, তা নিশ্চিত জানা যায়নি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চার দিনে শতাধিক ব্যক্তির দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ায় সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে এক সপ্তাহের ভেতর করোনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে ফুজিয়ান কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ সালের শেষে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটে।
ব্যাপক মাত্রায় করোনা পরীক্ষাসহ অন্যান্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়ায় দ্রুতই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় চীন।
তবে চলতি বছরের জুলাইয়ে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং শহরের বিমানবন্দর থেকে ফের করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়।
নানজিং থেকে রাজধানী বেইজিংয়ের পাশাপাশি পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে ওই সময় করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
এবার ৩০ লাখ মানুষের বসতি থাকা চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের পুটিয়ান শহরে করোনা আঘাত হানল।
করোনার সংক্রমণ রোধে পুটিয়ান শহরের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শহরের বাইরে যেতে চাইলে লোকজনকে যাত্রা শুরুর শেষ দুদিনের মধ্যে করা করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ ফল দেখাতে হবে বলেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সিনেমা হল, জাদুঘর, লাইব্রেরির মতো জনসমাগমস্থলের অভ্যন্তরে চলমান অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সময়ও কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
পুটিয়ানের পার্শ্ববর্তী জিয়ামেন ও কোয়ানঝাউ শহরেও জিম ও বার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করে দেখা দেয়া সংক্রমণ করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে।