৯/১১ হামলার ২০ বছর পূর্তির দিন এক ভিডিওতে হাজির হন আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি।
জাওয়াহিরি আর বেঁচে নেই, এমন খবর দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল।
৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার ২০ বছর পূর্তির দিন শনিবার আল-কায়েদার প্রধান ভিডিওতে হাজির হওয়ার মধ্য দিয়ে খবরটি সত্য নয় বলেই মনে করছেন অনেকে।
আবার জাওয়াহিরি বেঁচে নেই, ভিডিওটি আগে ধারণ করা হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ ও জিহাদি সংগঠনের অনলাইন কার্যক্রমের ওপর নজর রাখা যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ জানিয়েছে, শনিবার জাওয়াহিরির ভিডিওটি প্রকাশ হয়।
সাইটের বরাতে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, ভিডিওতে জাওয়াহিরি বলেন, জেরুজালেম কখনোই ইহুদিকরণ করা হবে না।
এ ছাড়া ভিডিওতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিরিয়ায় রাশিয়ার সেনাদের ওপর আল-কায়েদার হামলারও প্রশংসা করেন জাওয়াহিরি।
সাইটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ভিডিওতে উল্লেখ করেন জাওয়াহিরি।
তবে সাইটের ভাষ্য, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা প্রত্যাহারের কথা জাওয়াাহিরি বলেছেন বলে এটা মনে করার কারণ নেই ভিডিওটি সম্প্রতি ধারণ করা হয়েছে।
কারণ গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি তালেবানের সঙ্গে করে যুক্তরাষ্ট্র।
সাইট জানিয়েছে, গত মাসে আফগানিস্তান তালেবানের দখলে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি আল-কায়েদার প্রধান।
তবে ১ জানুয়ারি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাক্কা শহরে রাশিয়ার সেনাদের ওপর আল-কায়েদা হামলার কথা বলেন তিনি।
অসুখে ভুগে জাওয়াহিরির মৃত্যু হয়েছে, গত বছরের শেষ সময় থেকে এমন কানাঘুষা শোনা যাচ্ছিল।
শনিবারের আগ পর্যন্ত আল-কায়েদার প্রধানের কোনো ধরনের ভিডিও বা তার বেঁচে থাকার কোনো আলামত পায়নি কেউই।
সাইটের পরিচালক রিটা কাটজ টুইটবার্তায় বলেন, ‘আল-জাওয়াহিরি বেঁচে না-ও থাকতে পারেন।
‘এমনটা হলে চলতি বছরের জানুয়ারির পর বা তার কিছু আগে ভিডিওটি ধারণ করা হয়।’
সাম্প্রতিক বছরে আল-কায়েদার সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে আরেক নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস)।
২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অঞ্চল দখলে নেয় আইএস। ওই দুই দেশের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও আইএস যোদ্ধারা তাদের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত করে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর অভিযানে প্রাণ হারান আইএসের সর্বোচ্চ নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি।
এরপর ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের কর্মকাণ্ড কমে গেলেও একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি।
২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ শহরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে।
লাদেনের মৃত্যুর পর আল-কায়েদার হাল ধরেন মিসরীয় আল-জাওয়াহিরি।