উচ্চ আদালতের নির্দেশে করোনাভাইরাসে মৃতদের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে ভারত সরকার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) যৌথভাবে এই নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
নতুন এই নীতিমালায় করোনায় মৃতদের ক্ষতিপূরণ পেতে প্রমাণস্বরূপ কি কি নথিপত্র থাকতে হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
কোভিডে মৃতদের পরিবার কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাবে সেই বিষয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। করোনায় মৃত্যু হলে যাতে সেই পরিবারের ক্ষতিপূরণ পেতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তাই সুনির্দিষ্ট দিকের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
জুন মাসে এই গাইডলাইন তৈরির নির্দেশনা দেয়া হলেও সরকারের কাছে যথাসময়ে তা তৈরি না করার কারণ জানতে চায় শীর্ষ আদালত। পরে ৩ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানি হয়।
সরকার পক্ষে জমা দেয়া গাইডলাইনে বলা হয়, ‘র্যাপিড আ্যান্টিজেন টেস্ট, মলিকিউলার টেস্ট ও আরটি পিসিআর টেস্টের মাধ্যমেই চিহ্নিত করা হবে মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না। যদি এর মধ্যে কোনও পরীক্ষাই না হয়ে থাকে তাহলে হাসপাতাল থেকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ রাখতে হবে। কোনও চিকিৎসকও যদি করোনা আক্রান্ত বলে চিহ্নিত করেন, সেটাও প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।’
এর আগে আইসিএমআর-এর গবেষণায় দাবি করা হয়েছিল, মেডিক্যাল পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়ার দিন থেকে শুরু করে ২৫ দিনের মধ্যে যদি কারও মৃত্যু হয়, তাহলে তা করোনায় মৃত্যু বলে চিহ্নিত হবে।
কিন্তু সরকারের এই নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার ৩০ দিনের মধ্যে মৃত্যু হলেই তা কোভিডে মৃত্যু বলে চিহ্নিত করা হবে। হাসপাতাল বা বাড়িতে মৃত্যু হলেও তা কোভিডে মৃত্যু হয়েছে বলে ধরা হবে।
গাইডলাইনটিতে আরও বলা হয়েছে, যদি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই বাড়িতে বা হাসপাতালে কারও মৃত্যু হয়, তাহলে ডেথ সার্টিফিকেট থাকলেও করোনায় মৃত্যু হিসেবে চিহ্নিত হবে।
তবে করোনা আক্রান্ত হলেও যদি কারও মৃত্যু দুর্ঘটনায় হয় বা কেউ আত্মঘাতী হন অথবা কাউকে হত্যা করা হয়, তাহলে তা করোনায় মৃত্যু বলে চিহ্নিত হবে না।