ভারতে গত বছরের আগস্টে ১৯০ জন আরোহী নিয়ে দক্ষিণ কেরালার কালিকট বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রাণ হারান ২১ জন যাত্রী। সেই দুর্ঘটনায় দুজন পাইলটও নিহত হন। সঙ্গে গুরুতর আহত হন ৭৫ যাত্রী।
পাইলটের ত্রুটি এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে না পারায় বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দুবাই থেকে উড্ডয়ন করা বোয়িং-৭৩৭ মডেলের বিমানটি বৃষ্টির মধ্যে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। অবতরণের পর তা দুই ভাগ হয়ে যায়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংকটে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল ফ্লাইটটিতে।
প্রবল বর্ষা-মৌসুমে বৃষ্টিপাতের কারণে পাইলটরা অবতরণের প্রথম প্রচেষ্টা বাতিল করে দিলেও দ্বিতীয় প্রচেষ্টার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অবতরণের আগে অপারেশন পদ্ধতিতে বেশ কিছু লঙ্ঘন করেছে পাইলট।’
আরও বলা হয়, বিমানটি অবতরণের সময় সঠিকভাবে তথ্য না দিতে পারা, টেল উইন্ডে পরিষ্কারভাবে দেখতে না পাওয়া এবং প্রতিকূল আবহাওয়ায় সঠিক তথ্য ক্যালকুলেট করতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২৫৭ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘একটি অকার্যকর উইন্ডশিল্ড উইপারও দৃশ্যমানতা হ্রাস করেছে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রথম অবতরণের সময় কেবিন ক্রুদের বাধ্যতামূলক বসার যে ব্যবস্থা, সেটি ঘোষণা করেননি পাইলট।
বিষয়টিকে বিমান দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতির গুরুতর কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
ভারতে বর্ষা মৌসুমে এর আগে বিমান দুর্ঘটনার নজির আছে। বিশেষ করে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মৌসুম স্থায়ী হয়।
২০১০ সালের মে মাসে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ওভারশট হয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৫ জন নিহত হন।