সাত মাস পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে আবার ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবারের আলাপে উভয় নেতাই জাতিগত প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব যেন সংঘর্ষে রূপ না নেয়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন।
এর আগে জানুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর শি চিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। বাণিজ্য, গুপ্তচরবৃত্তি, করোনাভাইরাস মহামারি, মানবাধিকারসহ নানা বিষয়ে উত্তপ্ত চীন-যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি।
চীনের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াংয়ে গণহত্যার অভিযোগ আছে যুক্তরাষ্ট্রের। বেইজিংশাসিত হংকংয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ ও বিরোধী মতাদর্শীদের কঠোরভাবে দমন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে ওয়াশিংটনের।
অন্যদিকে চীন বরাবরই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপকে অযাচিত আখ্যা দিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ২০১৮ সাল থেকে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে দুই দেশের মধ্যে। তখন থেকে এ পর্যন্ত চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৩৬ হাজার কোটি ডলারের এবং আমেরিকান পণ্যে চীন ১১ হাজার কোটি ডলারের শুল্ক আরোপ করেছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বাইডেনও ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ চীন। এর সঙ্গে আছে দক্ষিণ চীন সাগরে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই চীনের আধিপত্য বিস্তার চেষ্টাও।
হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাইডেনের অনুরোধে এ ফোনালাপ হয়েছে। শি চিনপিং প্রশাসনের নিম্নপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় অনাগ্রহী ছিল বাইডেন প্রশাসন।
চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষপর্যায়ের বৈঠক শুরু হলেও পারস্পরিক দোষারোপের জেরে উত্তেজনা বেড়ে চলছিল। বেইজিং নিজ অবস্থানেই অনড় বলে সে সময় অভিযোগ করেছিল ওয়াশিংটন। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক আচরণের অভিযোগ তুলেছিল বেইজিং।