আফগানিস্তানে কর্মরত জাতিসংঘের কর্মীদের সমানে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে তালেবান। নানাভাবে তাদের হয়রানিও করছে নতুন শাসকদল।
জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কিছু সাহায্য সংস্থার নারী কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
গত মাসে তালেবান আফগানিস্তানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে এ ধরনের ঘটনা ক্রমে বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ডেবোরাহ লিয়ন্স।
নিরাপত্তা পরিষদে বৃহস্পতিবার লিয়ন্স জানান, আফগানিস্তানে জাতিসংঘের কর্মক্ষেত্রগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তালেবান সংযত আচরণ করছে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও ঘটছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় কর্মীদের প্রতি হয়রানিমূলক আচরণ ও তাদের হুমকি-ধমকি দেয়ার ঘটনা বাড়তে থাকায় আমরা উদ্বিগ্ন। কর্মীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতায় যা কিছু করণীয়, আমাদের সাধ্যমতো সেসব করব আমরা এবং তাদের ক্ষতি ঠেকাব।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জাতিসংঘের একটি অভ্যন্তরীণ নথি হাতে পড়ার খবর জানানো হয়েছে। ২৫ আগস্ট রয়টার্সের হাতে আসা ওই নথিতে অজ্ঞাত উৎস থেকে হুমকি, জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যালয়ে হামলা ও কর্মীদের শারীরিক লাঞ্ছনার অর্ধশতাধিক ঘটনার উল্লেখ রয়েছে।
১০ আগস্ট অর্থাৎ তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে এসব ঘটনা।
লিয়ন্স বলেন, ‘আফগান জনতার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো অব্যাহত রাখতে পারবে না জাতিসংঘ। আমাদের কর্মীদের স্বাধীনভাবে চলাচল করতে না দিলে, তাদের হয়রানি করা হলে বা হত্যার হুমকি দেয়া হলে কাজ করা সম্ভব নয়।’
মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে আফগান জনতা ও পশ্চিমা দেশগুলোকে তালেবান আশ্বাস দিলেও তার বাস্তবায়ন নিয়ে আস্থা হারাচ্ছে সব পক্ষ।
নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক জেফ্রি ডিলরেন্টিজ বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে জাতিসংঘের কর্মীদের হয়রানির খবরে আমরা ক্ষুব্ধ। তালেবান সদস্যদের এসব আচরণ কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
তালেবানকে জাতিসংঘের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকারও আহ্বান জানান তিনি।