করোনাভাইরাসের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব রোধে গত বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ।
সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে।
লাখ লাখ ছাত্র-ছাত্রী দীর্ঘদিন পর শিক্ষাঙ্গনে ফিরলেও এরই মধ্যে উদ্বেগজনক খবর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি সপ্তাহে রেকর্ডসংখ্যক শিশুর দেহে করোনা শনাক্ত হচ্ছে।
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড দ্য চিলড্রেনস হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে শুধু গত সপ্তাহেই প্রায় ২ লাখ ৫২ হাজার শিশুর দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
গত বছর করোনার সংক্রমণ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে এক সপ্তাহে এত বেশিসংখ্যক শিশু এর আগে আক্রান্ত হয়নি বলেও জানায় সংস্থাটি।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ শুরুর পর ৫০ লাখের বেশি শিশুর দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
এদের মধ্যে কেবল গত মাসেই সংক্রমিত হয় সাড়ে সাত লাখের বেশি শিশু।
শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সাপ্তাহিক হিসাব চলতি বছরের জুন মাসের চেয়ে প্রায় ৩০০ গুণ বেশি।
ওই মাসে সপ্তাহে কেবল ৮ হাজার ৪০০টি শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) তথ্যমতে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বসবাসরত শিশুদের মধ্যে করোনা বেশি হচ্ছে।
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বা উপসর্গে ভোগা প্রায় আড়াই হাজার শিশু এ মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর স্কুলে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছিলেন টেক্সাসের গভর্নর।
সেখানেই কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিশুর সংখ্যা অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের চেয়ে বেশি।
টেক্সাসের শিশু হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডা. জেমস ভেরসালভিক বলেন, ‘আমরা এটিকে করোনার চতুর্থ ঢেউ বলছি। শিশু ও কিশোরদের ওপর এ ঢেউ অন্যান্য সময়ের চেয়ে ব্যাপক।’