বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিটকয়েনকে সরকারি মুদ্রা ঘোষণা করেছে মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদর।
বিটকয়েনের ১২ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথম কোনো দেশ, যারা তাদের লেনদেনে ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে বিটকয়েনকে সরকারি মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা করল।
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষামূলক চালু করা ডিজিটাল মুদ্রাটি মানুষজন ডলারের পাশাপাশি কীভাবে লেনদেন করেন এবং কত মানুষ এতে আগ্রহী হন তা দেখতে চায় দেশটি।
এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে উৎসাহী ও এর বিরোধী উভয় অংশের মানুষের মতামত নেয়া হবে। সেই সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সি মধ্য আমেরিকান দেশটির মানুষের ওপর কতটা প্রভাব রাখতে পারে সেটিও দেখার কথা বলেছে দেশটির সরকার।
এ জন্য সালভাদর ৪০০ বিটকয়েন কিনেছে। যার বর্তমান মূল্য ২ কোটি ডলার। এ ছাড়া দেশটি আরও ‘অনেক’ বিটকয়েন কেনার পরিকল্পনা করেছে বলে টুইট করে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে।
প্রথম লটে তারা ২০০টি বিটকয়েন নিয়ন্ত্রণে পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
পরীক্ষাটি যদি সফল হয়, তবে অন্য দেশ এল সালভাদরকে অনুসরণ করবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিটকয়েন ওয়ালেট চিভো চালু করছে, ওয়ালেটে আগে থেকেই ৩০ ডলার লোড করা থাকবে। ওয়ালেটের নিবন্ধন করতে দেশটির জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক।
এ ছাড়া ব্যবসা ও সরকারকে কর পরিশোধের ক্ষেত্রে বিটকয়েন ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করার কথা জানায় সালভাদরের সরকার।
দেশটির ৪০ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে বলেন, ‘বিটকয়েন আর্থিক ব্যবস্থায় আরও বেশি মানুষকে আকৃষ্ট করবে এবং রেমিট্যান্স পাঠানো আরও সহজ করবে।’
যদিও এরই মধ্যে দেশটিতে বিটকয়েন চালু করা নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন, বিটকয়েনকে কোনোভাবেই যেন সরকারি মুদ্রা করা না হয়।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বিটকয়েন স্বাভাবিক লেনদেনে কিছুটা সমস্যা দেখছেন এর দাম ওঠানামায়।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতি বিটকয়েনের দাম ছিল ১০ হাজার ডলার। সেটা চলতি বছর এপ্রিলে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩ হাজার ডলারে। দুই মাস পরে তার দাম কমে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ডলারে।
সবশেষ বুধবার প্রতি বিটকয়েনের দাম দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৪৪৬ ডলারে।