বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সভাপতি পদে রাহুলকেই চায় কংগ্রেসের যুব শাখা

  •    
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০২

সোমবার রাতেই ওই প্রস্তাব পাস হওয়ার কথা জানানো হয়েছে যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সংগঠনের সভাপতি বি ভি শ্রীনিবাস টুইট করে প্রস্তাবের একটি কপিও প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় কংগ্রেসের সংবিধান মেনেই দলের সভাপতি পদে নিয়োগ করা উচিৎ রাহুল গান্ধীকে।

সভাপতি পদে কে থাকবেন সেটি নিয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট জবাব দেয়নি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। সভাপতি পদে নির্বাচনও স্থগিত করে দেয়া হয়েছে কয়েকবার।

তবে আরও একবার রাহুল গান্ধীকেই কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দেখতে চেয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের জাতীয় কার্য নির্বাহী বৈঠকে।

সোমবার রাতেই ওই প্রস্তাব পাস হওয়ার কথা জানানো হয়েছে যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সংগঠনের সভাপতি বি ভি শ্রীনিবাস টুইট করে প্রস্তাবের একটি কপিও প্রকাশ করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় কংগ্রেসের সংবিধান মেনেই দলের সভাপতি পদে নিয়োগ করা উচিৎ রাহুল গান্ধীকে।

গোয়ার রাজধানীর পানাজির কাছে একটি রিসোর্টে ভারতীয় যুব কংগ্রেসের দুই দিনের জাতীয় নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভার দ্বিতীয় দিনে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

এদিন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি বি ভি শ্রীনিবাস, যুব কংগ্রেসের ইনচার্জ এবং এআইসিসির যুগ্ম সচিব কৃষ্ণা আল্লাভারু।

বি ভি শ্রীনিবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘আগামী দিনে যুব কংগ্রেস রাস্তায় দেশের স্বার্থে সমস্ত জ্বলন্ত ইস্যুতে লড়াই করবে এবং এই সংগ্রাম মানুষের কাছে নিয়ে যাবে।’

২০১৭ সালে সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন রাহুল। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। গান্ধী পরিবারের সদস্যের পদত্যাগের ফলে কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়।

রাহুল গান্ধীর মন পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন কংগ্রেস নেতারা। বিকল্প কে হবে? সেটিও স্পষ্ট হয়নি। অবশেষে সোনিয়া গান্ধী যিনি ১৯ বছর ধরে কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তিনিই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসাবে ফিরে আসতে সম্মত হন।

সভাপতি পদ ছাড়ার সময় পদত্যাগ পত্রে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে একজন অ-গান্ধীকেই কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিতে হবে।

চলতি বছরে কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচন কিছু দিনের জন্য পিছিয়ে দেয়া হয়। কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচন হলে দলের নেতাকর্মীদের নজর বিধানসভা ভোটের প্রচার থেকে দলীয় নির্বাচনের দিকে ঘুরে যেতে পারে বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের মোট পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ছিল এ বছর। আর তার আগেই কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের কথা ছিল। দলীয় কর্মীদের নজর ঘুরে গেলে তার প্রভাব পড়তে পারে বিধানসভা ভোটের ফলাফলে। এমন আশঙ্কা থেকেই সিদ্ধান্ত বদল করে কংগ্রেস।

মে মাসেও আবার পিছিয়ে যায় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি জানিয়ে দেয়, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে এই নির্বাচন। ততদিন সোনিয়া গান্ধীই সভানেত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানানো হয়।

কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, করোনা পরিস্থিতি যত দিন না স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন স্থগিত রাখা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর