বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সূত্র মেনে একই গড়নের সব ডিম

  •    
  • ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:৩৯

ডিমের খোলসকে বলা হয় ‘নিখুঁত আকৃতি’। একই সঙ্গে ভ্রূণকে ধারণে যথেষ্ট বড় এবং প্রাণীদেহ থেকে সবচেয়ে সহজে বের হয়ে আসার মতো যথেষ্ট ছোট; পাড়ার পর ডিমটি গড়িয়ে না গিয়ে এক জায়গায় স্থির থাকা; যথেষ্ট ওজন বহনের সক্ষমতাসহ নানা কারণে ডিমের আকৃতি বিজ্ঞানে বহুল আলোচিত একটি বিষয়।

বিশ্বজুড়ে ডিমের সুনির্দিষ্ট আকৃতির কারণ হিসেবে একটি সর্বজনীন গাণিতিক সূত্র আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা।

কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট ট্রিটমেন্ট ও ভিটা-মার্কেট লিমিটেডের গবেষকদের মতে, এই সূত্র দিয়ে প্রকৃতিতে বিদ্যমান যেকোনো পাখির ডিমের আকৃতির কারণ বর্ণনা করা সম্ভব, যা এত দিন সম্ভব হয়নি।

এগ অ্যান্ড ম্যাথ: ইনট্রোডিউসিং আ ইউনিভার্সাল ফর্মুলা ফর এগ শেপ’ শীর্ষক মূল গবেষণা প্রতিবেদনটি গত ২৩ আগস্ট প্রকাশ করে বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী অ্যানালস অফ দ্য নিউ ইয়র্ক অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস।

সব প্রাণীর ডিমের একই রকম আকৃতির বিষয়টি বিশ্লেষণী দৃষ্টিকোণ থেকে বহু বছর ধরে গণিতবিদ, প্রকৌশলী ও জীববিজ্ঞানীদের আগ্রহের কারণ।

ডিমের খোলসকে বলা হয় ‘নিখুঁত আকৃতি’। একই সঙ্গে ভ্রূণকে ধারণে যথেষ্ট বড় এবং প্রাণীদেহ থেকে সবচেয়ে সহজে বের হয়ে আসার মতো যথেষ্ট ছোট বলে ডিমের বহিঃ আবরণের বিবর্তন বিজ্ঞানে বহুল আলোচিত একটি বিষয়।

আরও অবাক করার বিষয় হলো, কোনো প্রাণী ডিম পাড়ার পর ডিমটি গড়িয়ে না পড়ে এক জায়গায় স্থির থাকে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর জীবন শুরু হয় এই ডিম থেকে এবং এটি যথেষ্ট ওজন বহনেও সক্ষম।

সায়েন্স ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়, সব প্রাণীর ডিমের খোলস বিশ্লেষণ করে বিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায়ে চারটি জ্যামিতিক আকার পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এগুলো হলো গোলাকার, উপবৃত্তাকার, ডিম্বাকার ও সবশেষে নাশপাতির আকার।

নাশপাতির আকারের কোনো গাণিতিক সূত্র বা নাম এখনও নির্ধারণ করেননি বিজ্ঞানীরা। তাই ডিমের আকৃতির সূত্রটিকে পূর্ণাঙ্গ জ্যামিতিক রূপ দিতে তারা শেষ ধাপটিকে আখ্যায়িত করেছেন গোলক-উপবৃত্তাকার হিসেবে। যেকোনো ডিমের আকৃতি নির্ধারণের জ্যামিতিতেই গোলক-উপবৃত্তাকার প্রযোজ্য।

ডিমের খোলসের আকৃতির এই নতুন সর্বজনীন গাণিতিক সূত্র চারটি পরামিতির ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়েছে। পরামিতিগুলো হলো ডিমের দৈর্ঘ্য, সর্বোচ্চ প্রস্থ, উল্লম্ব অক্ষের পরিবর্তন ও ডিমের দৈর্ঘ্যের প্রতি চার ভাগের এক ভাগের ব্যাস।

শুধু ডিমের আকৃতি কারণ বুঝতেই নয়, কিভাবে আর কেন ডিমের বিবর্তন হয়, তা বুঝতেও নতুন সূত্রটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। পুরো বিষয়টি বিশদে জানা সম্ভব হলে জীববিজ্ঞান ও কারিগরি ক্ষেত্রেও নতুন করে সে জ্ঞান কাজে লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গবেষক ড. ভ্যালেরি নারুশিন বলেন, ‘এই সূত্রের প্রয়োগ শিল্পকলা থেকে শুরু করে প্রযুক্তি, কৃষি, স্থাপত্য পর্যন্ত সব খাতে দেখার অপেক্ষায় আছি। বিভিন্ন অনুষদের মধ্যে এ ধরনের সমন্বিত গবেষণা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই নতুন গবেষণার ফলে প্রমাণ হয়েছে।’

ডিমের মৌলিক সব আকৃতির গাণিতিক বর্ণনা খাদ্য গবেষণা, যন্ত্র প্রকৌশল, কৃষি, জীববিজ্ঞান, স্থাপত্যবিজ্ঞান ও বিমান চালনা শিক্ষায় আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে।

তবে নতুন সূত্রটি জীববিজ্ঞাননির্ভর প্রকৌশলসহ জ্ঞানের ভবিষ্যৎ বিভিন্ন স্তরের গবেষণাকে সহজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর