৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
একই সঙ্গে ওই হামলায় সৌদি আরবের সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতার বিষয়ও প্রকাশ করতে বলা হয়।
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হামলায় নিহতদের পরিবারের সাম্প্রতিক মামলা ও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশে আইনসভা কংগ্রেসের জোরালো চাপের পরই এফবিআইকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানায় দ্য গার্ডিয়ান।
স্থানীয় সময় শুক্রবার নির্বাহী এক আদেশে বলা হয়, ‘আর কয়েক দিন পরেই ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার ২০ বছর পূর্তি।
‘ওই হামলায় জড়িতদের বিষয়ে সরকারি অনুসন্ধানে কী পাওয়া গেছে, তা জানার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের রয়েছে।’
নির্দেশে বলা হয়, ‘আগামী ছয় মাসে ধাপে ধাপে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
‘পুরো গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করলে তা জাতীয় নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের হামলা ঠেকানোর ক্ষমতা ব্যাহত করতে পারে।
‘তাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মধ্যে ভারসাম্য রেখে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।’
হামলায় নিহতদের স্বজনরা দীর্ঘদিন ধরে এফআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছিল।
বিশেষ করে ৯/১১ হামলায় সৌদি আরবের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে, তা জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানানো হয়।
সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে হামলার কয়েক মাস আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত দুই বিমান ছিনতাইকারীর যোগাযোগের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এ দাবি আরও প্রবল হয়।
বিমান ছিনতাইয়ে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ বারবারই প্রত্যাখ্যান করে সৌদি আরব।
নিউ ইয়র্কের কেন্দ্রীয় আদালতে নিহতদের পরিবারের করা মামলা লড়ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
গত মাসে ৯/১১ হামলার তদন্তের আরও স্বচ্ছতার দাবি জানায় কংগ্রেস। এর এক মাস পরই নির্বাহী আদেশটি এলো।
হামলায় নিহত টমের স্ত্রী টেরি স্ট্র্যাডা বলেন, ‘নির্বাহী আদেশ জারি করায় আমি আনন্দিত।
‘ওই হামলাসংক্রান্ত সব নথির পর্যালোচনা এখন আমাদের হাতে আসবে।’
স্ট্র্যাডা আরও বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এতদিন জনগণকে হামলায় জড়িতদের বিষয়ে অন্ধকারে রেখেছিল। এখন তারা তা পারবে না।’
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সকালে যুক্তরাষ্ট্রে চারটি সমন্বিত সন্ত্রাসী হামলা হয়।
সন্ত্রাসীরা চারটি বিমান ছিনতাই করে নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও ভার্জিনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর পেন্টাগনে হামলা চালায়।
হামলায় আল-কায়েদার ১৯ সদস্য ছাড়াও প্রায় তিন হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়।