বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঞ্জশিরে লড়াইয়ের ভিডিও কবেকার?

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:২৪

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল ভিডিওটি সাত বছরের পুরোনো। এর সঙ্গে তালেবান ও পাঞ্জশিরে প্রতিরোধ বাহিনীর সাম্প্রতিক সংঘর্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের শেষ সময়ে দেশজুড়ে বিশাল অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান।

পশ্চিমা দেশ সমর্থিত আফগান সরকার উৎখাতে একপর্যায়ে ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল ঘিরে ফেলে তালেবান যোদ্ধারা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই দিনই জনগণকে কোনো বার্তা না দিয়ে দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের মসনদে ফের বসার আয়োজনের প্রায় শেষের দিকে তালেবান।

১৫ আগস্টের আগে মাত্র কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ৩৩টিই তালেবান দখল করতে পারলেও পাঞ্জশির তারা দখল করতে পারেনি।

শুধু এবার নয়, আফগানিস্তানে তালেবান প্রতিষ্ঠার পর আজ পর্যন্ত ওই প্রদেশ কখনো তালেবানের দখলে যায়নি।

ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা ও স্থানীয় বিদ্রোহীদের চরম তালেবানবিরোধী মনোভাব পাঞ্জশিরকে অনেকটা অজেয় দুর্গে পরিণত করেছে।

তালেবানের হাতে কাবুল পতনের পর কয়েক হাজার স্থানীয় মিলিশিয়া, আফগান সেনাবাহিনী ও বিশেষ বাহিনীর সাবেক সদস্যদের নিয়ে পাঞ্জশিরে জাতীয় প্রতিরোধ বাহিনী (এনআরএফএ ) গড়ে তোলেন স্থানীয় নেতা আহমেদ মাসুদ।

আশির দশকে সোভিয়েত ও নব্বই দশকে তালেবানবিরোধী লড়াইয়ে আফগানিস্তানের আলোচিত যোদ্ধা ছিলেন মুজাহিদীন কমান্ডার প্রয়াত আহমেদ শাহ মাসুদ। তারই ছেলে আহমেদ মাসুদ।

আফগানিস্তানের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর গত দুই সপ্তাহে তালেবানবিরোধী প্রতিরোধের প্রতীকে পরিণত হওয়া পাঞ্জশির দখলের চেষ্টা করে তালেবান।

তবে এখন পর্যন্ত এনআরএফএর শক্ত প্রতিরোধের কারণে প্রদেশটি তালেবানের দখলে যায়নি।

গত কয়েক দিন পাঞ্জশির দখল নিয়ে তালেবান ও এনআরএফএর মধ্যে তীব্র লড়াই হয়। উভয় পক্ষ ব্যাপক হতাহতের দাবি করে।

এমন পরিস্থিতিতে পাঞ্জশিরের পার্বত্য এলাকায় তুমুল গোলাগুলির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে।

এতে দাবি করা হয়, পাঞ্জশিরে বুধবার এনআরএফএর বিদ্রোহীরা এভাবেই তালেবানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।

ইন্ডিয়া টুডের অ্যান্টি ফেইক নিউজ ওয়ার রুম (এএফডব্লিউএ) ওই ভিডিওর দাবি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল ভিডিওটি সাত বছরের পুরোনো। এর সঙ্গে তালেবান ও পাঞ্জশিরে প্রতিরোধ বাহিনীর সাম্প্রতিক সংঘর্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

মিলিটারি ডটকম নামের এক ওয়েবসাইট ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ওই ভিডিও পোস্ট করে।

সেখানে বলা হয়, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা করে ইরানের সেনারা। ইরান সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করলে আইএসকে প্রতিহত করা হয়।

অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে ভিডিওটি ইয়েমেনের বলে দাবি করে।

আরবভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল হাদাথ ২০১৯ সালে ভিডিওটি পোস্ট করে বলে, ইয়েমেনে মিলিশিয়া বাহিনীকে লক্ষ্য করে দেশটির সেনাবাহিনী ওই হামলা চালায়।

ভাইরাল ভিডিওটি আসলে কবেকার আর ঠিক কোন অঞ্চলের এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি ইন্ডিয়া টুডে।

তবে এটি নিশ্চিত, কয়েক বছর আগে ভাইরাল ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল।

আফগানিস্তানের পাঞ্জশিরে প্রতিরোধ বাহিনী ও তালেবানের মধ্যকার সাম্প্রতিক লড়াইয়ের ভিডিও নয় এটি।

এ বিভাগের আরো খবর