শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্গা মূর্তি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির নেতারা কটাক্ষ করেছেন মমতাকে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, মমতার প্রতি জনগণের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এ প্রতিমা।
মমতার আদলে গড়া ‘তুমিই ভরসা’ থিমের প্রতিমার ছবি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। এর পর থেকেই এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই রাজনৈতিক শিবিরে।
কলকাতা বাগুইআটি নজরুল পার্ক উন্নয়ন সমিতির গড়া দেবীর পরনে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে নীল পাড়ের সাদা শাড়ি। পায়ে হাওয়াই চটি। ১০ হাতে মমতার ১০টি জনপ্রিয় উন্নয়ন প্রকল্পের প্রতীক।
প্রতিমার চালচিত্রে করা হবে বিশ্ব বাংলার লোগো। মণ্ডপ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে। প্রবেশপথ হবে চোখের আলো প্রকল্প অনুকরণে।
শিল্পী মিন্টু পালের তৈরি সে প্রতিমার প্রাথমিক ছবি বৃহস্পতিবার প্রকাশ পেতেই সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।
টুইটারে অমিত লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বহু অসহায় বাঙালির রক্তের দাগ লেগে আছে। ভোট পরবর্তী সহিংসতায় তার প্রমাণ মিলেছে। তাই এই প্রতিমা তৈরি করে মা দুর্গার অপমান করা হয়েছে।
‘মুখ্যমন্ত্রীর উচিত, এখনই এসব বন্ধ করা। বাংলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত করছেন তিনি।’
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণল ঘোষ বলেন, ‘অমিত মালব্য ভোটের আগেও অনেক টুইট করেছিলেন। ওই সস্তার রাজনীতি চলে না। সেটা উনার বোঝা উচিত।’
এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অনেকে নিজের মূর্তি তৈরি করেন। মমতার মূর্তিও হতেই পারে। ক্লাবকে টাকা দিয়ে উনি করাতেই পারেন, কিন্তু দুর্গার জায়গায় যাওয়া উচিত নয়। তবে মূর্তিরও তো বিসর্জন হয়। দড়ি ধরে আবার কেউ টান না মারে।’
পাল্টা জবাবে তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য শান্তনু সেন বলেন, ‘মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারে মনের মধ্যে যে বসিয়ে নিয়েছেন, এই মূর্তিই তার প্রমাণ। নরেন্দ্র মোদির মতো জীবদ্দশায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো স্টেডিয়ামের নাম নিজের নামে রাখেননি।
‘বাংলার মানুষ দড়ি ধরে কাদের কুপোকাত করে দিয়েছে, সেটা প্রমাণ হয়ে গেছে। আগামী দিনে ভারতবর্ষের মানুষ সে জন্যই তৈরি হচ্ছে।’