জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা ক্ষমতাসীন দলের প্রধান হিসেবে পুনর্নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। চলতি মাসে দলীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে এর মধ্য দিয়েই জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদ শেষ হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সরকারপ্রধান হিসেবে সুগার জনসমর্থন সবচেয়ে কম বলে খবর প্রকাশের পরই আসে এ ঘোষণা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পদত্যাগের পর মাত্র এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন সুগা। স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করেছিলেন আবে।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে জরুরি অবস্থায় থাকা জাপান বর্তমানে মহামারির সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। সংক্রমণ ১৫ লাখ ছাড়ানোর পাশাপাশি টিকাদান কার্যক্রম গতিশীল রাখার মতো পর্যাপ্ত ডোজও মজুত নেই দেশটিতে।
মহামারি পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতির মধ্যেও অলিম্পিক গেমস আয়োজন করা নিয়েও ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে জাপান সরকার।
ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রধান জানান, শুক্রবার দলের নির্বাহী বৈঠকে সুগা দলীয় নির্বাচনে প্রধান হিসেবে অংশ নেবেন না। বরং এখন মহামারির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে মনোযোগ দিতে চান তিনি।
সুগার এ সিদ্ধান্তে হতাশা জানিয়েছে তার দল। তবে সবদিক বিবেচনা করে তার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানিয়েছে দলটি।
এ খবর প্রকাশের পরই জাপানের পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৬ শতাংশ সূচকে শেষ হয়েছে দিনের লেনদেন।
এলডিপির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ২৯ সেপ্টেম্বর। বিজয়ী নেতাই জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাপানের পার্লামেন্টে এলডিপি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল।
কৃষক পরিবারের সন্তান ৭২ বছর বয়সী সুগা জাপানের প্রবীণ রাজনীতিবিদ। প্রথমবার ১৯৮৭ সালে তিনি ইয়োকোহামা সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনে জয় লাভ করেন তিনি।
২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুনিশিরো কোইজুমি স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার হিসেবে সুগাকে নিয়োগ দেন। পরের বছর শিনজো আবে মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন সুগাকে।