অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই এসেছিল ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৭ হাজার ৯২ জনের দেহে, যা গত ১ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। সেদিন দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৪৮ হাজার মানুষের।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এক লাফে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সংক্রমণ বেড়েছে ১২ শতাংশ।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, এক দিনে দেশটিতে মারা গেছে ৫০৯ জন। মৃত্যুও আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে এই সময়ে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ভারতে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয় গত মার্চ থেকে। এপ্রিলে সেটি ছিল সর্বোচ্চ। সে সময় টানা কয়েক দিন দৈনিক সংক্রমণ ৪ লাখ ছাড়িয়ে যায়। সেটা ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকে।
ভারতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৭ জনের। সরকারি হিসাবে ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫২৯ জনের।
গত কয়েক দিন থেকেই দেশটিতে শনাক্ত ছাড়ায় ৪০ হাজারের ঘর। এতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এখন ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের কেরালা রাজ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে। রাজ্যটিতে এ সময় ৩২ হাজার ৮০৩ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর পরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজারের বেশি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দেশটিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সতর্ক করেছে। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় দেশটিতে শনাক্তের হার মাত্র ২ দশমিক ৮০ শতাংশ।
অবশ্য ভারতে করোনা সংক্রমণ কমে আসার অন্যতম কারণ বলা হচ্ছে, টিকাকরণকে। ভারতে এখন পর্যন্ত ৬৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়েছে।