বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আফগানিস্তানে তীব্র খাদ্য সংকটের সতর্কতা জাতিসংঘের

  •    
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:৪৫

২০২০ সালেও আফগানিস্তানে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ৪০ শতাংশের বেশি এসেছিল আন্তর্জাতিক সহায়তা থেকে। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর সেসব সহায়তার বেশিরভাগই স্থগিত করা হয়েছে। বাকি সহায়তার বিষয়েও কোনো নিশ্চয়তা নেই।

আফগানিস্তানে এক মাসের মধ্যে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটির মতে, দেশটির প্রতি তিনজনে একজন হয়তো অভুক্ত থাকবে সামনের দিনগুলোতে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক দিনে আফগানিস্তানে খাদ্যপণ্যের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৭৫ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে জাতিসংঘের সমন্বয়ক রমিজ আলাকবারোভ বুধবার বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতির খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে। দেশটির অর্ধেক শিশুর পরের বেলার খাবার অনিশ্চিত এখনই।’

সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরই দেশটির জন্য অধিকাংশ সহায়তা স্থগিত করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

এ অবস্থায় সরকারি সেবা চালু রাখা এবং সরকারের কর্মীদের বেতন-ভাতা দেয়া নতুন শাসক দলের জন্য প্রায় অসম্ভব বলেও জানান আলাকবারোভ।

এখনও সরকার গঠন করেনি তালেবান। তাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও প্রশ্নবিদ্ধ। এমন বাস্তবতায় খুব শিগগিরই বিদেশি সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা নেই আফগানিস্তানের নতুন সরকারের।

বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ আফগানিস্তান। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের অভিযানে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিপুল পরিমাণে বিদেশি সহায়তা পেয়েছিল দেশটি।

২০২০ সালেও বেসামরিক আফগানিস্তানে মোট বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ৪০ শতাংশের বেশি এসেছিল আন্তর্জাতিক সহায়তা থেকে।

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর সেসব সহায়তার বেশিরভাগই স্থগিত করা হয়েছে। বাকি সহায়তার বিষয়েও কোনো নিশ্চয়তা নেই।

আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে অর্থ যুক্তরাষ্ট্রে গচ্ছিত আছে, তাতেও প্রবেশাধিকার পাবে না তালেবান।

সব মিলিয়ে তালেবানের নতুন সরকার বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর