বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘানি-ট্রাম্পকে দুষছেন বাইডেন

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৯:১৪

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে তালেবানের সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী গত বছর তালেবানের শীর্ষ যোদ্ধাসহ পাঁচ হাজার বন্দির মুক্তির বিষয়টি বক্তব্যে উল্লেখ করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘মুক্তি পাওয়া তালেবানের এসব শীর্ষ কমান্ডারই আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।’

আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও নিজের পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

আফগান ভূখণ্ড থেকে তাড়াহুড়া করে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে কোনো ভুল নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সুযোগে ২০ বছরের ব্যবধানে ফের আফগানিস্তানের মসনদ দখলের উদযাপন এখনও শেষ হয়নি দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের। এর মধ্যেই মঙ্গলবার প্রথম প্রহরে কাবুল ছাড়ে আমেরিকান সেনাদের শেষ দলটি।

বিদেশি ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম যুদ্ধে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির পর বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন বাইডেন।

বাইডেনের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আরও বেশি সময় আফগানিস্তানে বিদেশি সেনা উপস্থিতি থাকলেও লাভ হতো না।

টার্কিশ রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশনের (টিআরটি) প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে তালেবানের সঙ্গে সেনা প্রত্যাহার চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী গত বছর তালেবানের শীর্ষ যোদ্ধাসহ পাঁচ হাজার বন্দির মুক্তির বিষয়টি বক্তব্যে উল্লেখ করেন বাইডেন।

তিনি বলেন, ‘মুক্তি পাওয়া তালেবানের এসব শীর্ষ কমান্ডারই আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।

‘আমি যখন ক্ষমতায় এসেছি, ততদিনে তালেবান ২০০১ সালের চেয়েও বেশি সামরিক শক্তি অর্জন করে ফেলেছিল। তারা ততদিনে দেশের অর্ধেকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছিল বা নেয়ার পথে ছিল।’

তালেবানের শাসন থেকে পালাতে চাওয়া প্রায় সোয়া লাখ মানুষকে নিরাপদে আফগানিস্তান থেকে বের করে আনতে সক্ষম হওয়ায় সেনাদের প্রশংসা করেন তিনি।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেনা অভিযান শেষ করতে গিয়ে প্রায় ২০০ আমেরিকান নাগরিককে আফগানিস্তানে ফেলে রেখে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি যারা দেশে ফিরতে চান, তাদের আফগানিস্তান থেকে নিয়ে আসতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দেন প্রেসিডেন্ট।

৩১ আগস্টের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের বিকল্প ছিল না বলে জোর দাবি করে বাইডেন বলেন, ‘চিরকাল ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধে নিজেদের সম্পৃক্ততা আমি আরও দীর্ঘ করতাম না।

‘পূর্ণাঙ্গ সেনা প্রত্যাহারে যেমন খুশি তেমন একটি তারিখ কিন্তু নির্ধারণ করিনি আমরা। এই তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছিল মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য।

‘সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়াও অনির্দিষ্টকালের জন্য চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না। আফগানিস্তানে আমাদের যুদ্ধ শেষ।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন রাখার প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের যাবতীয় দায়দায়িত্ব আমি নিচ্ছি।

‘অনেকে হয়তো এখন বলবেন যে আরও আগে আমাদের গণউদ্ধার কার্যক্রম শুরু করা দরকার ছিল কিংবা আরও সুশৃঙ্খলভাবে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা যেত। শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমি তা মনে করি না।’

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি জায়গায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ যায় তিন হাজারের বেশি মানুষের। ওই হামলায় জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সম্পৃক্ততা এবং গোষ্ঠীটিকে আফগানিস্তানের তৎকালীন শাসক দল কট্টরপন্থি তালেবান মদদ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল ওয়াশিংটনের।

এসবের ধারাবাহিকতায় সে বছরই আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট।

এর দুই দশক পর আরও বেশি শক্তি নিয়ে দৃশ্যপটে আবির্ভূত তালেবান। এবার আগের চেয়েও বেশি অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে কট্টরপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

বিষয়টি নিয়ে তড়িঘড়ি সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে বাইডেন প্রশাসন।

এ বিভাগের আরো খবর