বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৃণমূলে ফিরলেন বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২১ ২৩:১৯

তৃণমূলে ফিরে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘বিজেপিতে কাজ করার কোনো পরিবেশ নেই। নিজেরা নিজেদের মধ্যে রোজ বিষোদগার করছে। তাই ছেড়ে এসেছি। যারা ভাষা বোঝে না, তাদের সঙ্গে থাকা যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই।’

বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে যোগ দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য বিশ্বজিৎ দাসের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ দাস আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।’

এর আগে, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই তৃণমূলে ফিরে খানিকটা কৈফিয়তের সুরে তিনি বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, তখন একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। জনপ্রতিনিধির কাজ হলো, মানুষের পাশে থেকে কাজ করা। আমার ওপর মানুষের আস্থা ছিল। তাই দু’বার জয়ী হয়েছি। আমি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছি।’

বিজেপিতে গেলেও সেখানে বিশ্বজিতের বনিবনা হচ্ছিল না। মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে তার বিবাদ লেগেই ছিল। ২০১১ এবং ২০১৬ তে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেছিলেন বিশ্বজিৎ।

২০১৯ সালে মুকুল রায়ের হাত ধরে দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে তিনি সক্রিয় হতে চেয়েও মন বসাতে পারেননি। ইদানিং বিশ্বজিৎ তৃণমূলের সঙ্গে তার সম্পর্ক আবার তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন। তৃণমূলে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন।

তবে তাকে ধরে রাখতে বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা বৈঠক করেছিলেন কিন্তু তাতে যে কোন কাজ হয়নি, মঙ্গলবার বিশ্বজিতের তৃণমূলে যোগ দেয়ায় তা প্রমাণ হয়ে গেল।

তিনি এতদিন বিজেপিতে থাকলেও তেমনভাবে বিজেপির কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেননি। বিশ্বজিৎ বলেন, ‘ওখানে কাজ করার কোনো পরিবেশ নেই। নিজেরা নিজেদের মধ্যে রোজ বিষোদগার করছে। তাই ছেড়ে এসেছি। যারা ভাষা বোঝে না, তাদের সঙ্গে থাকা যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই।’

বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৭৭টি আসনে জয়লাভ করেছিল। সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামানিক বিধায়ক পদ ছেড়ে দেয়ায় ৭৫টি আসন হয়ে যায়। এরপর মুকুল রায়, তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ দাস বিজেপি ছাড়ায় বিজেপির আসন ৭২টি হয়ে গেল।

সূত্রের খবর, আরও কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে রাজ্য বিজেপির বিধ্বস্ত ও দুর্বল চেহারাটা আরও প্রকট হয়ে উঠছে।

এ বিভাগের আরো খবর