আফগানিস্তানের কাবুলে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট খোরাসানের (আইএস-কে) সন্দেহভাজন যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে চালানো যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহতদের ১০ জনই বেসামরিক নাগরিক। এদের মধ্যে ছয় শিশুও ছিল।
স্বজনরা জানিয়েছেন, একই পরিবারের নিহতরা আফগানিস্তান ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।
সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার বিকেলের ওই হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘কাবুলে এক গাড়িতে ড্রোন হামলা হয়েছে। গাড়িটিতে চড়ে আইএসের বেশ কয়েকজন আত্মঘাতী সদস্য হামলার লক্ষ্যে কাবুল বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, গাড়িটিতে শক্তিশালী বিস্ফোরক থাকায় ড্রোন হামলার পরে আরও বিস্ফোরণ ঘটে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের কয়েকজন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় দোভাষী হিসেবে কাজ করতেন। তাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসাও ছিল।
নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী শিশুর বয়স দুই বছর। এছাড়া ১২ বছর বয়সের এক শিশুও ছিল।
নিহতদের স্বজনদের একজন রামিন ইউসুফি বলেন, ‘ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এমন নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে।’
ড্রোন হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এক আত্মঘাতী হামলায় ১৭০ জন নিহত হওয়ার পর আফগানিস্তানের ড্রোন হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে জঙ্গি সংগঠনটির এক আত্মঘাতী হামলাকারীকে হত্যা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটি।
বিশ বছরের সামরিক দখলদারিত্বের পর ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে আফগানিস্তানে রাজধানী কাবুল দখল করেছে কট্টর ধর্মীয় গোষ্ঠী তালেবান। বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার গঠনের চেষ্টা করছে গোষ্ঠীটি।